
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)
আমতলী উপজেলার পশুরবুনিয়া এলাকায় বেড়াতে এসে নিখোঁজের একদিন পর হাসানুর রহমান পান্না (১২) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যারাতে পায়রা নদীর পাড়ে জিও ব্যাগের মাঝখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু পান্নার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার খাজরা গ্রামে। বাবার নাম সফিকুল ইসলাম গাজী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পায়রা নদীর ব্লক নির্মাণকাজ করছে মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। লেবার সরদার ইয়াসিনের ছোট শ্যালক পান্না ১০ দিন আগে তার কাছে বেড়াতে আসে। শুক্রবার রাতে পান্না ভগ্নিপতি ইয়াসিনের কাছ থেকে একশ টাকা নিয়ে বাইরে বের হয়। এরপর থেকে সে আর বাসায় ফেরেনি।
স্থানীয়ভাবে সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির সন্ধান মেলেনি। মসজিদে মাইকিংও করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় পায়রা নদীর জিও ব্যাগের মাঝে পান্নার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শ্রমিক ইয়াসিন বলেন, পান্নাকে শুক্রবার রাতে বের হওয়ার পর অনেক খুঁজেও আর পাইনি। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় মরদেহ নদীর পাড়ে পাওয়া যায়। শিশুটির বাবা সফিকুল ইসলাম সাগরকন্যাকে বলেন, বেড়াতে এসে আমার ছেলেটা কিভাবে মারা গেল, বুঝতে পারছি না। আমার সব শেষ হয়ে গেল।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।