
মঙ্গলবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পুজোর ছুটিতে পর্যটকে মুখর কুয়াকাটা সৈকত
হোম পেজ » কুয়াকাটা » পুজোর ছুটিতে পর্যটকে মুখর কুয়াকাটা সৈকতএ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কুয়াকাটা থেকে
শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিকে ঘিরে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকেই শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা, যা চলবে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দীর্ঘ চার দিনের এই ছুটিকে ঘিরে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে আগাম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। অনেক পর্যটক এখনো কক্ষ বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করছেন। সৈকতের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের বরণে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, পুজোর ছুটি শুরুর আগের দিন থেকেই (২৯ সেপ্টেম্বর) কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে। এবার লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে তাদের আশা। তারা মনে করছেন, এই ছুটিকে কেন্দ্র করে এ মৌসুমের শুরুর ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সৈকত এলাকায় টহল ও নজরদারি চালাবেন। আগত পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন কর্তৃপক্ষ।
পর্যটননির্ভর ১৬টি পেশার প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক আগত পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে চলতি মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক পর্যটক কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসবেন। অন্যথায় পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটায় আড়াই শতাধিক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর প্রায় সবগুলোই ইতোমধ্যে বুক হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলেও ৫০-৬০ শতাংশ আগাম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
আবাসিক হোটেল ‘সৈকত’-এর ম্যানেজার রাজিব হোসেন জানান, তাদের ৭০টি কক্ষই ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বুক হয়ে গেছে। পর্যটকরা এখনো রুমের খোঁজ করছেন, তবে আর কোনো কক্ষ খালি নেই।
পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল ইয়ুথ ইন ও হলিডে হোমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ৭৭টি কক্ষের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড বিলাসের এজিএম আল-আমিন খান উজ্জ্বল জানান, ২৮-৩০ সেপ্টেম্বর ৬০ শতাংশ কক্ষ বুকিং থাকলেও ১-৩ অক্টোবর পর্যন্ত রিসোর্ট ও ভিলা শতভাগ বুক হয়ে গেছে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম. এ মোতালেব শরীফ জানান, চলতি সপ্তাহের দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিকে ঘিরে কুয়াকাটায় প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলো শতভাগ বুক হয়ে গেছে এবং ছোট-বড় হোটেলগুলোরও ৬০-৭০ শতাংশ কক্ষ বুক হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পুজো ও ছুটিকে ঘিরে প্রচুর পর্যটক আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ টহল থাকবে।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসিন সাদেক বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় পৌর কর্তৃপক্ষ, মহিপুর থানা পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেকপোস্ট স্থাপন ও টহল কার্যক্রমের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২২:৪৭ ● ১২৯ বার পঠিত