ছাতকের ভাতগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ সদস্যের অনাস্থা

হোম পেজ » সর্বশেষ » ছাতকের ভাতগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ সদস্যের অনাস্থা
রবিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫


ভাতগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি ১২সদস্যের অনাস্থা

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, ছাতক (সুনামগঞ্জ)

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন ১২ জন ইউপি সদস্য। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তারা ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন এককভাবে শাসন চালাচ্ছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন, সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ ও ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে অনিয়ম করছেন। ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, ২০২৩-২৫ অর্থবছরের টিআর প্রকল্পে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ১০০ টাকা এবং কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৮০০ টাকার স্বচ্ছতা নেই।

এছাড়া সরকারি খাদ্যশস্য (চাল ও গম) প্রায় ২২ মেট্রিক টন আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাগরিক সনদ, জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেবার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। গরিবদের বরাদ্দের টিন, নলকূপ, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতায় অনিয়মের অভিযোগও তোলা হয়েছে।

চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন ক্ষমতায় আসার আগে একজন সাধারণ শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি সিলেট শহরের আখালিয়ায় একটি বাড়ি, গ্রামের বাড়িতে দুটি বিলাসবহুল ভবন এবং প্রায় ৩০ একর জমির মালিক হয়েছেন। তার সন্তানকে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদেশে পাঠানোর কথাও অভিযোগে উল্লেখ আছে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা শিব্বির আহমদ, সাবেক ইউপি সচিব জিতেন দাস ও সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দায়ী করা হয়েছে।

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এএমএল/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৮:৪৩ ● ১৬২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ