বৃহস্পতিবার ● ৩১ জুলাই ২০২৫

সাপুড়ের মৃত্যুর পর বিষাক্ত সাপ চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে

হোম পেজ » রংপুর » সাপুড়ের মৃত্যুর পর বিষাক্ত সাপ চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে
বৃহস্পতিবার ● ৩১ জুলাই ২০২৫


সাপুড়ে মোজাহারের সেই বিষাক্ত সাপটি কাঁচা চিবিয়ে খাবার দৃশ্য এটি

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সাপ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন এক সাপুড়ে। পরে সেই সাপটি কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেয়েছেন আরেক সাপুড়ে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ওই জেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নে।

বুধবার সকালে ডাক্তারপাড়ার সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন সাপ ধরতে যান পাশের কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কাপালিপাড়ায় ইমরান আলীর বাড়িতে। পাকঘরের ইঁদুরের গর্তে একটি কিং কোবরা ও তার ১৫-১৬টি ছানা বাসা বেঁধেছিল। ছানাগুলো ধরার পর বড় সাপটিও ধরেন বয়েজ উদ্দিন। কিন্তু বস্তায় ঢোকানোর আগেই সাপটি তাকে ছোবল দেয়।

প্রথমে বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা না গেলেও বাড়ি ফেরার পর বয়েজ উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর বিভিন্ন ওঝা ও সাপুড়ে সেখানে আসেন। তাদের একজন মোজাহার মৃত সাপুড়ের ধরা সাপগুলো নিয়ে যান। পরে গাবতলা বাজারে তিনি সেই বিষাক্ত সাপটি কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান। এ সময় অনেকে তা দেখতেও জড়ো হন।

ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাহার স্থানীয়ভাবে ‘সাপ খাওয়া মোজাহার’ নামে পরিচিত। তিনি নিজেও সাপ ধরেন এবং ঝাড়ফুঁক করেন। তার দাবি, সাপ খাওয়াটা তার পুরোনো অভ্যাস।

তিনি জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি খবর পান এবং নিশ্চিত হন যে বয়েজ উদ্দিন বাঁচবেন না। পরিবারের অনুরোধে এসে মৃত ঘোষণা করেন এবং সাপগুলো নিয়ে যান।

এদিকে, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝাড়ফুঁক চলেছে বলে জানা যায়।

ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম আবু সায়েম বলেন, সাপে কাটলে ঝাড়ফুঁকে কোনো উপকার হয় না। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কাছে অ্যান্টিভেনম মজুত আছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে, বিশেষ করে বর্ষাকালে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:১৬:৪১ ● ১১৪ বার পঠিত