চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে

প্রথম পাতা » রাজশাহী » চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে
শনিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০১৯


প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমানের পরাজয় নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। নির্বাচনের পরের দিন সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের সংবাদ সম্মেলন এবং নির্বাচনের প্রায় ২৫ দিন পর বৃহস্পতিবার পরাজিত প্রার্থী জিয়াউর রহমানের আহবান করা সভায় নেতা-কর্মীদের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের পুরোনো দ্বন্দ্ব নতুন করে প্রকাশ পেয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিয়াউর রহমানের পরাজয় নিয়ে তার নেতা-কর্মীদের সাথে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ আনা হয়।
অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রহনপুর রাবেয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিয়াউর রহমানের আহবান করা সভায় বক্তারা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী জিয়াউর রহমানের পরাজয়ের নেপথ্যে গোমস্তাপুর উপজেলায় ১০ম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের ছোট ভাই রহনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস, গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদের ছোট ভাই আকরাম হোসেনসহ তাদের অনুসারী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের এবং নাচোল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদেরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করা নেতা-কর্মীদের বহিস্কারের দাবী জানানো হয়।
এ ছাড়া সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের নেয়া গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগনামা দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিকট জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ প্রসঙ্গে ১০ম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের ছোট ভাই রহনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সভায় তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। নির্বাচনে আমরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষেই একযোগে কাজ করেছি।
এদিকে নাচোল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদেরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সভায় তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবী করেন। এ প্রসঙ্গে ১০ম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসেরসাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরাজিত প্রার্থী জিয়াউর রহমান যে সভা আহবান করেছেন তা সংগঠণ বিরোধী। এ ছাড়া সভায় তাঁর ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। এ প্রসঙ্গে পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক এমপি জিয়াউর রহমান জানান, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কার কি ভূমিকা ছিল তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা দলীয় হাই কমান্ডের নিকট দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসন না হলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর জয় অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছেন।

এফএন/এনইউবি

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৪:৪১ ● ৫৪৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ