ঈদযাত্রায় প্রস্তুত হচ্ছে ফিটনেসবিহীন পুরনো লঞ্চ

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ঈদযাত্রায় প্রস্তুত হচ্ছে ফিটনেসবিহীন পুরনো লঞ্চ
মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০১৯


ঈদযাত্রায় প্রস্তুত হচ্ছে ফিটনেসবিহীন পুরনো লঞ্চ

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

আসন্ন ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে পুরনো ফিটনেসবিহীন লক্করঝক্ক লঞ্চগুলোতে চলছে মেরামতি কার্যক্রম। সেজন্য বিভিন্ন ডকইয়ার্ডগুলো এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। ঈদে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের রাজধানী থেকে বাড়ি ফেরার একমাত্র উপায় হয়ে ওঠে নৌপথ। সেজন্য লঞ্চই হয়ে ওঠে তাদের একমাত্র ভরসা। ঈদের সময় ভিড়ের কারণে লঞ্চের চাহিদাও অনেক বেড়ে যায়। আর ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লক্কড়-ঝক্কড় লঞ্চে রঙ লাগিয়ে নদীতে নামায় এক শ্রেণীর লঞ্চ মালিক। এবারও বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে চলছে পুরনো, ফিটনেসবিহীন লঞ্চের মেরামত ও রঙের কাজ। বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌপথ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতীরে কেরানিগঞ্জের তেলঘাট থেকে মীরেরবাগ পর্যন্ত ২৭টি ডকইয়ার্ড রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অনেক মালিক ওসব ডকইয়ার্ডে লঞ্চ ওঠানোর জন্য দুই মাস আগেই টাকা দিয়ে রেখেছে। এখন প্রায় সব ডকইয়ার্ডেই চলছে বিভিন্ন নৌযানের সংস্কার ও রঙের কাজ। কারণ সবাই ঈদের সময় লঞ্চ নতুন করতে চায়। সেজন্য প্রায় এক মাস আগেই লঞ্চ ডকইয়ার্ডে আনা হয়। তখন থেকে চলে লঞ্চের বিভিন্ন সংস্কার এবং রঙ করার কাজ।
সূত্র জানায়, রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৪৩টি রুটে শতাধিক লঞ্চ চলাচল করে। ওসব লঞ্চে হাজার দশেক ভিআইপি, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী কেবিন রয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার যাত্রী ওসব রুটে চলাচল করে। ঈদ মৌসুমে ওই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজারেও বেশি। তখন অতিরিক্ত মুনাফার লোভে কিছু অসাধু মালিক লক্কড়-ঝক্কড়, চলাচলে অনুপযোগী লঞ্চ কোনো রকমে মেরামত ও রঙ করে পানিতে নামায়।
এদিকে ঈদ ঘিরে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চালানো প্রসঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার (জাব) সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল জানান, সদরঘাট থেকে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর কাগজপত্রে কোনো ত্রুটি নেই। ঈদের আগে লঞ্চগুলো চেক হয়। কোনো ত্রুটি থাকলে তা ডকইয়ার্ডে নিয়ে ঠিক করা হয়। পরে লঞ্চগুলো রঙ করা হয়। আর রঙ করা থাকলে লঞ্চের লোহার বডিও ভালো থাকে।
একই প্রসঙ্গে লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, যথেষ্ট তদারকির ব্যবস্থা থাকায় ঈদে লঞ্চ দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
অন্যদিকে একই প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, লক্কড়-ঝক্কড় লঞ্চ নদীতে নামতে দেয়া হবে না। ঈদের ১০ দিন আগে থেকে কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকবে। র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য থাকবে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ চলতে না দিতে কঠোর নজরদারি থাকবে। এমন অবস্থায় পুরনো লঞ্চগুলোতে রঙ বা মেরামত করে নতুনভাবে নামানোর কোনো সুযোগ নেই। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস বাড়ানো হয়েছে। তাই ঘাটতি থাকবে না। যেসব লঞ্চ যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে রঙ করা হচ্ছে, সেগুলোর দিকে আরো বেশি নজর রাখা হবে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৪:৪৪ ● ৩৭৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ