খালেদার নাইকো মামলার চার্জ শুনানি ফের পিছিয়েছে

প্রথম পাতা » রাজনীতি » খালেদার নাইকো মামলার চার্জ শুনানি ফের পিছিয়েছে
রবিবার ● ১৯ মে ২০১৯


---

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানির তারিখ আবারো পেছানো হয়েছে। তার আইনজীবীদের করা সময় বাড়ানোর আবেদন গ্রহণ করে আদালত ৩০ মে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (১৯ মে) কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ধার্য করেন। অসুস্থতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা যায়নি। চার্জ শুনানি যেহেতু আসামির উপস্থিতিতে হয়, তাই খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে এদিন চার্জ শুনানি সম্ভব নয়-জানিয়ে আদালতে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। তাদালত তা মঞ্জুর করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ। ওইদিন তিনি আদালতে না হাজির না হওয়ায় শুনানির জন্য ১০ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করা যদিও। যদিও ওইদিনও তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। পরবর্তীতে ৬ মে ও ১৯ মে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়। এর আগে চলতি বছরের ১৯ মার্চ পুরাতন কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে হাজির করা হয়। সেদিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত তা শেষবারের মতো মঞ্জুর করে ১ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছিলেন। এর আগে ৩ মার্চ মামলার অপর আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, খন্দকার শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি হয়। ওই সময় খালেদা জিয়া ছাড়া সব আসামির পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ হয়। তবে ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে বিচারককে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষের কথা জানান খালেদা জিয়া।
নাইকো দুর্নীতি মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ¦ালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন। এ মামলায় পলাতক রয়েছেন আরও তিন আসামি। তারা হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্স-এর সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। মামলার ১১ আসামির মধ্যে সাবেক সচিব শফিউর রহমান ২০১৮ বছরের ৫ মে মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১০ জন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ এনে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের দ-ে দ-িত হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২১:৫৩ ● ৪৯৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ