ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে আমতলী-তালতলীর দুই লাখ মানুষ

প্রথম পাতা » বরগুনা » ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে আমতলী-তালতলীর দুই লাখ মানুষ
মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০১৯


---

আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর ওপর নির্মিত বেইলী ব্রীজ এখন মরণ ফাঁদ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে আমতলী-তালতলী উপজেলার দুই লক্ষ মানুষ। এখনই পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আমতলী উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে আমতলী ও তালতলী  উপজেলার সংযোগ সড়কের আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করে। ওই ব্রীজ দিয়ে তালতলী ও আমতলী উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিন ওই ব্রীজ দিয়ে মাদ্রাসা, স্কুল,কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পারাপার হয়। এছাড়া ঢাকাগামী যাত্রীবাহী পরিবহন , আর্ন্তজেলা বাস, ট্রাক,লরি,কাভার্ড ভ্যান, মাহেন্দ্র ও অটোবাইকসহ ছোটবড় সহ¯্রাধীক যানবাহন পারাপার করে। ব্রীজ নির্মাণের ২৭ বছরে কয়েক দফায় ব্রীজের আঢ়া, পাটাতন, অ্যাংগেল ভেঙ্গে গেছে ও নাট বল্টু খুলে পরেছে। গত তিন বছর ধরে ব্রীজটি বেহাল দশায় পড়ে আছে। ব্রীজের পাটাতন দেবে গেছে, অ্যাংঙ্গেল ভেঙ্গে গেছে, নাট বল্টু খুলে পরেছে। অ্যাংঙ্গেল ভেঙ্গে পরায় ও নাট বল্টু খুলে যাওয়ায় ব্রীজ নড়বড়ে হয়ে গেছে। ব্রীজের উপর ছোট গাড়ী উঠলেও ঠকঠক করে নড়ে। ব্রীজের পাটাতন দেবে গেছে। স্থানীয়রা ওই দেবে যাওয়া পাটাতনের উপর বালুর বস্তা ও কাঠের পাটাতন দিয়ে রেখেছে। ওই বালু ও কাঠের পাটাতনের উপর দিয়ে ভাড়ী যানবাহন চলাচল করছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রীজের মাঝখানে ষ্টীলের পাটাতন দেবে গেছে। অ্যাংগেল ভেঙ্গে পরেছে ও নাট বল্টু খুলে গেছে। ছোট যানবাহন ব্রীজের ওপর উঠলেও ব্রীজ ঠকঠক করে নড়ে। মানুষ ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ূন কবির বলেন, ব্রীজের অবস্থা এতই নড়বড়ে ও নাজুক যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। দ্রুত এই ব্রীজটি সংস্কারের দাবী জানাই।
আড়পাঙ্গাশিয়া বাজার কমিটির সভাপতি সরোয়ার হাওলাদার বলেন, ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে পন্য ভর্তি গাড়ী পারপার হতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানাই।
তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ রেজবিউল কবির জোমাদ্দার বলেন, তালতলীর প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আড়পাঙ্গাশিয়া বেহাল ব্রীজটি পার হয়ে আমতলীতে যেতে হয়। ওই ব্রীজ ভেঙ্গে গেলে তালতলী উপজেলার সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। দ্রুত ওই ব্রীজটি মেরামত করে মানুষের যাতায়াতের পথ সুগম করার দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ওই ব্রীজটি মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজের কাজ শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, ওই নদীর ওপরে পাকা ব্রীজ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে মাটি পরীক্ষা ও টোকো সার্ভে করা হয়েছে। নকশার কাজ চলছে। নকশার কাজ শেষ হলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে পাকা ব্রীজের কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩১:৩৫ ● ৯৫২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ