
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোপুরের নাজিরপুরে জমি-জমার বিরোধে দুই ভাইকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। নেছারাবাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন দুই ভাই, উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ভুক্তভোগীরা বরিশালে থাকার সুযোগে এমদাদুল্লাহর মাছের ঘের থেকে রাতের আধারে দশ লক্ষাধীক টাকার মাছ নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার দেউলবাড়ী-দোবরা ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে। আহত দুই ভাইকে নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে বরিশালে রেফার করেন।
আহত এমদাদুল্লাহ ও নুরুল্লাহ দুই ভাই জানান, দীর্ঘ ৩৫ বছর পূর্বে কাওসার গংদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আজ পর্যন্ত আমরা ভোগ দখলে যাইতে পারি নাই। স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করলেও তারা কারো কোন কথা শোনে না। গায়ের জোরে আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভোগ দখল করিতে চায়। এমনকী আমাদের জমির মধ্যে থেকে একটি খাল কেটে নিয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের গত বৃহস্পতিবার রাতে ছোট ভাই বড় ভাইকে বাড়ীতে আগাইয়া দিয়ে ফেরার পথে তোজাম্মেল দফাদার বাড়ীর সামনে পৌছা মাত্র পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা কাওসার, জসিম, শাহাবুদ্দিন, রাজুসহ ১০ থেকে ১২ জনে ছোট ভাই নুরুল্লাহকে পেয়ে লোহার রড়, পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে, ডাক চিৎকার শুনিয়া বড় ভাই এমদাদুল্লাহ এগিয়ে আসলে তাকের পিটিয়ে আহত করে। পরে দুই ভাইকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এমদাদুল্লাহর স্ত্রী লুৎফুন্নেছা জানান, প্রতিপক্ষরা বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের দোষর হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে এখনও করে বেড়াচ্ছে। গতকাল শুক্রবার আমরা বাড়িতে ছিলাম না এই সুযোগে আমাদের মাছের ঘের থেকে প্রায় দশ লক্ষাধীক টাকার মাছ নিয়ে যায়। কে বা কারা নিয়ে গেছে জানতে পারিনি। তবে যারা আমার স্বামী এবং ভাসুরকে মেরেছে তারা এই কাজ করতে পারে।
এ বিষয়ে জসিমের ভাই আঃ সালাম মুঠফোনে জানান, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নুরুল্লাহ ও এমদাদুল্লাহদের সাথে আমার ভাইয়ের কথার কাটা-কাটি হয়। ঘটনার বিষয় স্থাণীয় দফারকে জানাতে গিয়ে ফেরার পথে নুরুল্লাহ ও এমদাদুল্লাহ আমার ভাই জসিমকে পিটিয়ে আহত করে। আমার ভইকে নিয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
স্থানীয় চৌকিদার মোঃ হাসান জানান, ঘটনা শুনে দফাদারসহ মাছের ঘেরের কাছে গিয়ে মাছ ধরে নেওয়ার আলামত দেখাগেছে। তবে কে বা কারা নিয়েছে জানা যায়নি।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহামুদ আল-ফরিদ ভুঁইয়া জানান, জায়গা-জমির বিরোধ সংক্রান্তে একটি মারামারির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ/এমআর