দুমকিতে প্রতারক জুলফিকারকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা!
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
দুমকিতে প্রতারক জুলফিকারকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা!
মঙ্গলবার ● ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামী প্রতারক জুলফিকারকে ধরিয়ে দিতে ১লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষনা করা হয়েছে। মামলার বাদি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মো: সোহরাব গাজী প্রতারক জুলফিকারকে ধরিয়ে দিতে লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষনা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিনের ছেলে জুলফিকার আলী ২০২০সালের মাঝামাঝি সময়ে লেবুখালী পাগলার মোড় এলাকায় একটি ওষুধের ফার্মেসির সাথে বিকাশের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর আগে তিনি স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীর কাছ থেকে সোনালী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের চেক বন্ধক রেখে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নেন। কিন্ত ব্যবসার শর্তানুযায়ী পাওনাদারদের না দিয়ে আজ দেবো-কাল দেবো বলে টালবাহানা শুরু করেন। অতিষ্ট হয়ে সাবেক স্কুল শিক্ষক সোহরাব গাজী বন্ধকী চেকের ৪০লাখ টাকা আদায়ের জন্য গতবছরের মার্চ মাসে পটুয়াখালী দায়রা জজ আদালতে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর পরই প্রতারক জুলফিকার কাউকে কিছু না জানিয়ে দোকান ও বসতঘরে তালা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। গত রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামীর অনুপস্থিতিতে মামলায় উল্লেখিত চেকের ৪০লাখ টাকা পরিশোধ সহ ১বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মামলার বাদি সোহরাব গাজী বলেন, ব্যবসার কথা বলে সোনালী ও ইসলামী ব্যাংকের চেক জমা রেখে জুলফিকার আমার নিজের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা নেন। পরবর্তী সময়ে টাকা চাইতে গেলে নানান টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে শুনি তিনি আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। আবুল বাশার গাজী নামের এক পাওনাদার জানান, ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকেও চেক দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই প্রতারক (জুলফিকার) প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। একপর্যায়ে টাকা না দিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়।
আরএক পাওনাদার মাসুদ গাজী বলেন, ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ছয় লাখ টাকা নেয় প্রতারক জুলফিকার। কয়েকদিন পর মানুষের কাছে শুনতে পায় সে পালিয়ে গেছে। এ ছাড়াও আরো অনেকের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে জুলফিকার। যদি কেউ তার সন্ধান দিতে পারেন তাহলে তার জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাকে দেখা মাত্রই দুমকি থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন পাওনাদাররা।
এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৩:৫৭ ●
২৫ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)