দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা নির্যাতনে ছাত্র নিহত ও আহতের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি জনতা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই, শিক্ষার্থীর ওপর হামলা কেন জবাব চাই, দিতে হবে, তুই রাজাকার বলছে কে, সরকার সরকার ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সরকারি জনতা কলেজ ও পবিপ্রবি ক্যাম্পাস সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে ঢাকা-বরিশাল কুয়াকাটাসহ আভ্যন্তরীণ সকল রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশের সাথে দুমকির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)’র টিএসসি চত্ত্বরে সমবেত হয়ে ৮শতাধিক শিক্ষার্থীর একটি বিক্ষোভ মিছিল বেড় হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান গেটে দুমকি বাউফল সড়কে অবস্থান নেয়। একই সময় সরকারি জনতা কলেজ ও মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ কলেজের ৩শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুমকি-বাউফল সড়কে অবস্থান নেয়। টানা ৩ঘন্টা সড়ক অবরোধের ফলে ঢাকা-পটুয়াখালী-কুয়াকাটাসহ অভ্যন্তরীণ সকল রুটের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে আটকে পরা বিভিন্ন রুটের শত শত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর যাত্রী সাধারণকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। ছাত্রবিক্ষোভে অংশ নেয়া পবিপ্রবি’র চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান মিলু, হাসিবুল এলাহী, ৩য় বর্ষের ছাত্র নুরুন্নবী সোহান, অনিরুদ্ধ সরকার, সরকারি জনতা কলেজ শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ, ইয়াসিন, ইমতিয়াজ, আজিজ আহম্মদ কলেজ শিক্ষার্থী সানাউল্লাহসহ সকলের দাবি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেন হামলা করে সহপাঠি শিক্ষার্থীকে হতাহত করা হয়েছে তার জবাব দিতে হবে। অভিযুক্ত হত্যাকারিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূল শাস্তি চাই। আর কোটা নয়, মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিৎ না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকার ঘোষনা দেন।
এদিকে বেলা আড়াইটায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত শিক্ষার্থীর স্মরণে পবিপ্রবি প্রধান গেটে এক গাবেয়ানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন পবিপ্রবি’র ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফেজ মো: ফরিদ শরীফ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায় অংশ নেয়। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্তক ও কৌশলী ভূমিকা ও সক্রিয় তৎপড়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এমআর