
গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নে রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বাড়ৈ জাল সনদে চাকুরী করছেন ও সম্প্রতি ওই স্কুলের ৪টি পদে কর্মচারী নিয়োগে অর্থ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪টি পদে ৪জন চাকুরী প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ৩৪ লক্ষ টাকা চাকুরী দেওয়ার নামে নিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে।
গতবৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জ জেলা প্রসাশক, জেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর শিক্ষার্থী অভিবাবকরা ও চাকুরী প্রত্যাশীর অভিভাবক নিত্যানন্দ বাড়ৈ, কমল বাড়ৈ, দীপক রায় ও সুভাষ অধিকারী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিয়োগটি সচ্ছ না হয়ে অর্থের বিনিময়ে ৪জনকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বাড়ৈ বলে জানার অভিযোগকারীরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কোটালিপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বাড়ৈ জাল সনদে চাকুরী করছে। প্রধান শিক্ষকের বিএড সনদটি দারুল ইহাসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রয় করা বলে উল্লেখ করে অভিযোগে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অস্তিত্ব নেই এবং সনদটি কোন সার্ভারেও নেই। বি.এড. সনদটি নিয়মিত কিন্তু একই সময়েই কোটালিপাড়া উপজেলার ধারাবাশাইল স্কুলের হাজিরা খাতার উপস্থিতি স্বাক্ষর রয়েছে প্রধান শিক্ষক বপন বাড়ৈ। দ্বৈত উপস্থিতি কী করে সম্ভব।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করে, সম্প্রতি স্কুলে ৪টি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত নিয়োগ পরিক্ষার আগেই কম্পিউটার ল্যাব পদে অজয় দাস পার্থ কাছ থেকে ১২ লক্ষ, অফিস সহায়ক পদে রনি বিশ্বাসের কাছ থেকে ৮ লক্ষ, নৈশ প্রহরী পদে অলোক বাড়ৈর কাছ থেকে ৭ লক্ষ, আয়া পদে ইরানি গাইনের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে প্রধান শিক্ষক তপন বাড়ৈ ও তার চাচাতো ভাই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুনিল কুমার বাড়ৈ।
এব্যাপরে রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বাড়ৈকে ফোন করলে তিনি তদন্ত কমিটির দোহাই দিয়ে কোন বক্তব্য দিবেন না বলে জানান।
গোপালগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এইচবি/এমআর