ঝালকাঠি সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ঝালকাঠি জেলা পুলিশ লাইনস এর ২০ গজের মধ্যে অবস্থিত একটি চায়ের দোকানে পুলিশের একজন সদস্যকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা ছাত্রলীগের একজন নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শহরের জেলা পরিষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমীন ওরফে সায়মনকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। তিনি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। পুলিশ সদস্য মো. আলাউদ্দিনকে (৩২) আহত অবস্থায় প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলাউদ্দিন জেলা পুলিশের যানবাহন শাখায় কর্মরত।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জেলা পরিষদের সামনে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে রুটি-সবজি খাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন। খাবারে লবণ কম হওয়া নিয়ে চায়ের দোকানির সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান আলাউদ্দিন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমীন চায়ের দোকানির পক্ষ নেন। তখন পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিনের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা রুহুলের বিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রুহুল দোকানে থাকা একটি জ্বালানি কাঠ দিয়ে আলাউদ্দিনের মাথায় আঘাত করেন। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে নেওয়া হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে কৃষ্ণকাঠি এলাকা থেকে রুহুল আমীনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মুঠোফোনে সাগরকন্যাকে জানায়, তিনি সংগঠনিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমীন ওরফে সায়মনকে আটকের ব্যাপরে মামলার কপি হাতে পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঝালকাটি সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো: নাসির উদ্দিন সরকার খোলা কাগজকে বলেন,  ঘটনাস্থলের ২০ গজের মধ্যে জেলা পুলিশ লাইনস অবস্থিত। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমীন ওরফে সায়মনকে আটক করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। অপরাধী যে দলেরই হোক, তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

কেই/এমআর