গলাচিপায় তীব্র গরমে বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » গলাচিপায় তীব্র গরমে বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষ
মঙ্গলবার ● ১১ এপ্রিল ২০২৩


গলাচিপায় তীব্র গরমে বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর গলাচিপায়তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সারা দেশের মত গলাচিপার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাই এই ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রোজাদাররা। উতপ্ত রোদে মৌসুমী সবজি চাষিরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। রোদের এ তীব্রতা আরও বাড়লে ক্ষেতের সবজি পচে যাওয়ার শংকায় রয়েছেন তারা। এদিকে অস্বাভাবিক গরমে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে জ্বর ও ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। তিব্র গরম সইতে না পেড়ে খালে, বিলে, পুকুরে মাছ ধরতে দেখা গেছে অনেকেই, তবে আবহাওয়ার এই অবস্থা আরও এক সপ্তাহ বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস। গলাচিপা লঞ্চঘাট এলাকারশ্রমিক হাবিব মিয়া জানান, লঞ্চ ও কার্গোতে গার্মেন্টেসের ব্যাপক মালামাল এসেছে। এসব জামা কাপড় ঈদ উপলক্ষে দোকানীরা বিক্রি করবে। এদিকে অসহনীয় আকারে বেড়েছে গরম। তারপরও এসব মালামাল দোকানে পৌছে দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই এলাকার রিক্সা চালক সোহেল নাইয়া জানান, এতো রোদ এবং এতো গরম রিক্সা চালানো দায় হয়ে যাচ্ছে। শরীর থেকে শুধু ঘাম ঝড়ছে। গোলখালী ইউনিয়নের পান চাষী স্বপন হাওলাদার জানান, রোদের অবস্থা এরকম থাকলে আমাদের ক্ষেতের পান অনেকটা পচে যাবে। এতে আমরা বড় লোকসানে পড়বো। গলাচিপা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনা হাওলাদার জানান, কয়েকদিনের তীব্র গরম সহ্য করার মত নয়। তাই বাসায় আছি। বাহিরে বের হতে পারছি না। ঘরের মধ্যেও এখন তাপ লাগছে। এলাকা ঘুরে দেখা যায় খেটে খাওয়া মানুষের হাসফাস অবস্থা। পুকুর, দিঘি বা খালের পানিতে গোসল করে গরমের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে।অনেকে আবার একটু সুযোগ পেলেই বিশ্রাম নিচ্ছেন গাছের তলায়। রোদের প্রচন্ড তাপে মাঁটিও গরম হয়ে গেছে সকল স্থানের। এ বিষয়ে একজন মাদ্রাসা শিক্ষক মো. কামাল হোসাইন জানান, মাদ্রাসা এখন বন্ধ। কিন্তু দাখিল পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে মাদ্রাসায় কোচিং করাতে হয়। বাসা থেকে মাদ্রাসায় ও মাদ্রাসা থেকে বাসায় আসতেই মনে হয় জান বের হয়ে যাবে। ছাতা ব্যবহার করেও প্রচন্ড রোদের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আবহাওয়ার এই অবস্থা আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত বিরাজ করতে পারে।

এসডি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৯:৫৪ ● ৭৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ