তালতলীতে ১৫বছরেও কাটেনি সিডরের ধকল!

প্রথম পাতা » বরগুনা » তালতলীতে ১৫বছরেও কাটেনি সিডরের ধকল!
সোমবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২২


তালতলীতে ১৫বছরে কাটেনি সিডরের ধকল!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বাঁধ সংস্কার না করায় ১৫ বছরেও ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। জোয়ার ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলে তাদের জীবন। দ্রুত তারা টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
জানাগেছে, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ঘন্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির প্রলয়ঙ্কারী ঘুর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল দক্ষিণের জনপদ। আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ২৯৭ জন মানুষের প্রাণহানী ঘটে। এখনো ৪৯ জন নিখোঁজ রয়েছে । অগনিত গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। বাড়িঘর, ফসলী জমি, রাস্তাঘাট, ভেরীবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সুন্দরবনের গাছপালা ব্যাপক ক্ষতি হয়। সিডরের  ১৫ বছরেও ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি তালতলী উপজেলার তেতুঁলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা মানুষ। ওই এলাকার ৪৫ নং পোল্ডারে ৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু সিডরের ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বাধ নির্মাণ করা হয়নি। ভাঙ্গন করলিত জয়ালভাঙ্গা ও তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার অন্তত ২০ হাজার মানুষ জোয়ার ভাটার সাথে যুদ্ধ করে চলছে।  টেকসই ভেরিবাঁধ নির্মাণ করা করায় গত ১৫ বছরে অন্তত ১০০ হেক্টর জমি পায়রা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নিঃস্ব ও গৃহহীন হয়েছেন অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার। ওই পরিবারগুলো বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।   ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো  দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
তালতলী তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম ও লিটন বলেন, সিডরে বিধ্বস্থ তেঁতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এখনো নির্মাণ করা হয়নি।  পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু রিং ভেরিবাঁধ দিয়েছে।
সামান্য বন্যা ও পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। গত ১৫ বছর ধরে হুমকির মুখে রয়েছেন এলাকার মানুষ। দ্রুত টেকসই ভেরী বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন তারা।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, তেঁতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা এলাকায় টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৯:৫৫ ● ২১১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ