ইরানের রক্ষণাত্মক সংগ্রাম, ইসরায়েলের সন্ত্রাসী আক্রমণ নিন্দনীয়

প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » ইরানের রক্ষণাত্মক সংগ্রাম, ইসরায়েলের সন্ত্রাসী আক্রমণ নিন্দনীয়
বুধবার ● ১৮ জুন ২০২৫


---

২০২৫ সাল শুরু হয়েছে এক ভয়াবহ যুদ্ধ বাস্তবতার মধ্যে দিয়ে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের ছায়াযুদ্ধ ও রাজনৈতিক উত্তেজনা অবশেষে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এই সংঘর্ষ শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যকার সংঘাত নয়, এটি পুরো মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, মানবতা ও ভূরাজনীতির জন্য এক গভীর অশনি সংকেত।

ইসলামের পক্ষে আমরা দৃঢ়ভাবে ইরানের পক্ষ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ইরান রক্ষা করছে নিজের সার্বভৌমত্ব, জনগণের মর্যাদা এবং ধর্মীয় অধিকার। অন্যদিকে, ইসরায়েল তার সামরিক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী আচরণ অব্যাহত রেখেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা ও মৌলিক অধিকারে ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই যুদ্ধের প্রথম ধাক্কায় ইরান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ইসরায়েলের সামরিক ও কৌশলগত প্রস্তুতি তাদের ক্ষতি কমাতে সহায়তা করেছে। ‘আয়রন ডোম’-এর মাধ্যমে ইসরায়েল আক্রমণ প্রতিহত করলেও, এর মাধ্যমে তারা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে কাজ করছে না; বরং সংঘাত আরও তীব্র করছে।

যুদ্ধের এই ভয়াবহতা শুধুমাত্র সামরিক পরিধিতে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজার অস্থির, ইসলামী বিশ্বের মধ্যে বিভাজন বাড়ছে এবং মানবিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।

ইসরায়েলকে আমরা কঠোরভাবে নিন্দা জানাই যে, তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নয়, সমগ্র মানবতার বিরুদ্ধে একটি বড় অপরাধ। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু কথিত হস্তক্ষেপ নয়, কার্যকর ও ন্যায্য সমাধানের ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন অগ্রাধিকার দিয়ে ইরানের অধিকার রক্ষা ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে। যুদ্ধের বিকল্প নেই, শান্তিই একমাত্র সমাধান।

 

আমরা প্রত্যাশা করি, সকল পক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় আগ্রহী হবে এবং মানবতার পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করবে। কারণ যুদ্ধ নয়, শান্তিই মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যাণের একমাত্র পথ

বাংলাদেশ সময়: ০:৪২:৫৫ ● ১৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ