ঝালকাঠি সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ঝালকাঠির সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান, বাসন্ডা ও ধানসিঁড়িসহ পাঁচ নদীর মোহনায় প্রস্তাবিত ইকোপার্ক রক্ষায় জনস্বার্থে মামলা করা হয়েছে। ঝালকাঠির প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি করে ঝালকাঠির ইকোপার্ক রক্ষা, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন কমিটি।
কমিটির পক্ষে মামলায় বাদী হয়েছেন সদস্য সচিব এবং সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন তালুকদার, যুগ্ম-আহ্বায়ক আকতার হোসেন, শোয়েবুর মোর্শেদ সোহেল ও গিয়াস উদ্দিন খসরু।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
মামলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সহকারী কমিশনার (ভূমি), তহশলিদারসহ (পৌরভূমি অফিস) ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৪ সালে একনেক সভায় ইকোপার্কটি অনুমোদন পায়। ৮৮.৩৬ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে ইকোপার্ক। সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান, বাসন্ডা ও ধানসিঁড়ি নদীর মোহনায় প্রাকৃতিকভাবে জেগে ওঠা এই চরটি এলাকাবাসীর পিকনিক স্পট, ঈদ আনন্দ মেলা, তাবলিগ জামাতের এজতেমা, বৈকালীন ভ্রমণ, বৈশাখী মেলা, ঘোড় দৌড়সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত ধানসিঁড়ি নদীর প্রবেশমুখে ৮৮.৩৬ একর জমিতে গড়ে ওঠা ইকোপার্কটি রক্ষা করা এবং রাষ্ট্রের ও জনগণের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার ঝালকাঠিবাসীর প্রাণের দাবি। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ইকোপার্কের উন্নয়নে একনেকে চার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নিচু জমি ভরাট করে সমতল করা হয়। উপকূলীয় বনায়ন প্রকল্প কর্তৃক ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে বৃক্ষরোপণ করা হয়।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত ইকোপার্কটি ঝালকাঠি যুগ্ম প্রথম জেলা জজ আদালতকে ব্যবহার করে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা বেদখল করার পায়তারা চালাচ্ছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিনা আলম লিজা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকালে মামলাটি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২৮ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
কেই/এমআর