গৌরনদীতে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
রবিবার ● ২৩ অক্টোবর ২০২২


গৌরনদীতে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরিশালের গৌরনদীতে বটি দিয়ে কুপিয়ে চাচাতো ভাই সুমন হাওলাদার (৩৪) নামে এক টিভি’র মেকারকে খুন করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার পোস্তখোলা এলাকায়  পৌছলে সে (সুমন) মারা যায়। পুকুরের পানি নামানোর পাইপ উঠিয়ে ভেঙ্গে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিল্বগ্রাম এলাকার  ওই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন উপজেলার বিল্বগ্রাম বাজারের টিভি-রেডিও’র মেকার ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের বড় ভাই সোলায়মান হাওলাদার জানান, বাড়ির যৌথ মালিকানাধীন পুকুরের পানি নামানো ও খাল থেকে পানি ঢুকানোর জন্য যৌথভাবে সম্প্রতি পুকুর ও খালের সংযোগ পাড়ে প্লাস্টিকের একটি পাইপ স্থাপন করা হয়। ওই পাইপ দিয়ে পুকুরের পানি নামানোর ফলে পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় হাত-মুখ ধুঁতে ও গোসল করতে অসুবিধা হচ্ছিল। অপরদিকে পুকুরে পানি কম থাকার সুযোগে জাফরসহ বাড়ির ২/৩ জনে জাল দিয়ে প্রায়ই পুকুরের মাছ ধরে আসছিল। ওইসব  কারণে  তার সহোদর ভাই টিভি-রেডিও’র মেকার সুমন হাওলাদার পুকুরের পানি নামানোর ওই পাইপটি বৃহস্পতিবার (২০ আক্টোবর) উঠিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এ নিয়ে তার ভাই সুমন হাওলাদার ও চাচাতো ভাই জাফর হাওলাদারের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এরজের ধরে জাফরের নেতৃত্বে ৮/১০ জনে বটিসহ দেশীয় ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুমনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় জাফর বটি দিয়ে কুপিয়ে সুমনের মাথায় মারাত্মক জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে (সুমন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মুমুর্ষু অবস্থায় সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার পোস্তখোলা এলাকায় পৌছলে সে (সুমন) মারা যায় বলে নিহতের ভাই সোলায়মান হাওলাদার জানান।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান, সুমন মারা যাওয়ার আগেই তার (সুমন) স্ত্রী সুলতানা বেগম বাদি হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে শনিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে থানায় ৩২৬/৩০৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই মো. নাসির মিয়া রোববার দুপুরে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে বিচারক ওই মামলায়  ৩০২ ধারা সংযুক্ত  করেন। ফলে উক্ত মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হয়েছে। রোববার দুপুরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে সুমনের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সুমন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে বলে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান।

এআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৬:৫৭ ● ১০৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ