আমতলীতে ভাবিকে কুপিয়ে জখম!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে ভাবিকে কুপিয়ে জখম!
মঙ্গলবার ● ১১ অক্টোবর ২০২২


আমতলীতে ভাবিকে কুপিয়ে জখম!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

ভাবি মোসাঃ কাজল বেগমকে দেবর মোঃ বজলু ঢালী ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ভাবীকে স্বজনরা উদ্ধার করে সোমবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় দেবর বজলু ঢালীকে প্রধান আসামী করে স্বামী আনোয়ার ঢালী মঙ্গলবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। আদালতের বিচাকর মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার শাখারিয়া গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার আনোয়ার ঢালী ও তার ভাই মনজু ঢালীর মধ্যে ৪৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই জমিতে ঘাষ চাষ করে আনোয়ার ঢালী। সোমবার বিকেলে ওই জমির ঘাস বজলু ঢালী কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। এতে বাঁধা দেয় ভাবী কাজল বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দেবর বজলু ঢালী ও তার সহযোগী মজনু  এবং মুছা ওই দিন সন্ধ্যায় ভাবীকে কুপিয়ে আহত করে। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। দ্রুত স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। অভিযোগ রয়েছে ইতিপুর্বে বজলু ঢালী ভাবী কাজলকে তিন দফায় মারধর করেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার স্বামী আনোয়ার ঢালী বাদী হয়ে ছোট ভাই বজলু ঢালীকে প্রধান আসামী করে তিনজনের নামে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আহত কাজল বেগম বলেন, গত তিন মাসে আমাকে আমার দেবর তিন দফায় মারধর করেছে। গতকাল আমার জমির ঘাস কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। এতে আমি বাধা দেয়ায় আমাকে কুপিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বজলু ঢালী ভাবীকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, জমির ঘাস কাটায় বাঁধা দেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবি মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিনহাজুর রহমান বলেন, আহত কাজলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, নথি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৮:৩১ ● ৯৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ