মায়ের স্বীকারোক্তি-গৌরনদীতে স্বপ্নাদেশে শিশু কন্যাকে গলাটিপে হত্যা!

প্রথম পাতা » বরিশাল » মায়ের স্বীকারোক্তি-গৌরনদীতে স্বপ্নাদেশে শিশু কন্যাকে গলাটিপে হত্যা!
মঙ্গলবার ● ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২


গৌরনদীতে স্বপ্নাদেশে শিশু কন্যাকে গলাটিপে হত্যা!

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

স্বপ্নাদেশ পেয়ে বরিশালের গৌরনদীতে ৪৩দিন বয়সের শিশু কন্যা খাদিজা ইসলাম রুকাইয়াকে গলা টিপে হত্যা করে নানা বাড়ির পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা গ্রেফতারকৃত আসামি গর্ভধারনী মা হিমা আক্তার (২৫) বরিশাল আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘাতক মা হিমা আক্তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বপ্নাদেশ পেয়ে তার শিশু কন্যা খাদিজাকে গলা টিপে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার লোমহর্ষক  বনর্না দিয়ে জবানবন্দি দেয়। বিষয়টি  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার এস.আই হারুন অর রশিদ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৪৩ দিনের শিশু কন্যা খাদিজা ইসলাম রুকাইয়া হামাগুড়ি দিয়ে নানা বাড়ির পুকুরের পানিতে পড়তে পাড়ে না। তাই শিশু কন্যাকে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সোমবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামের বাবা মৃত হালিম আকনের (বাপের) বাড়ি থেকে তাকে (হিমা) গ্রেফতার করেন। তাকে (হিমা) ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে (হিমা) স্বপ্নাদেশ পেয়ে তার শিশু কন্যা খাদিজাকে গলা টিপে হত্যা করে  বাবা (বাপের) পুকুরে ফেলে দেয় বলে পুলিশ জানায়। এরপর গ্রেফতারকৃত মা হিমা আক্তারকে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বরিশাল আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত  বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মা হিমা আক্তার  স্বপ্নাদেশ পেয়ে গলা টিপে তার শিশু কন্যা খাদিজাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার লোকহর্ষক বর্ননা দিয়ে জবানবন্দি দেয় বলে এসআই হারুন অর রমিদ জানান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হিমা আক্তার   সন্তান প্রসাবের পূর্ব  থেকেই একই উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের বাবার (বাপের)  বাড়িতে অবস্থান করে আসছিল। সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেওয়া পর নানা মৃত হালিম আকনের  বাড়িতে অবস্থানরত শিশু কন্যা খাদিজা ইসলাম রুকাইয়া (বয়স ৪৩দিন)কে তার নানি জোহরা খানম  ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে গোসল করিয়ে তাকে (খাদিজা) নানির ঘাটে শুইয়ে রাখে। কিছুক্ষন পর নানি জোহরা ঘরে গিয়ে নাতনি খাদিজাকে  না দেখে বিষয়টি স্বজনদের জাানয়। এরপর স্বজনরা তাকে (খাদিজা) খোঁজাখুজি করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নানা বাড়ির পুকুর থেকে খাদিজার মৃতদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় থানা পুলিশ খাদিজার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।   এ ঘটনায় নিহতের বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ১৭ ফেব্রুয়ারি  সকালে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা  মামলা দায়ের করেন। ওইদিন (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে খাদিজার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েংছে।

বিকেএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩০:৩৯ ● ৬৮২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ