পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
এক বছর পরেই চাকুরি থেকে অবসর নেয়ার কথা ছিল নিহত সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের। পটুয়াখালী শহরের বহালগাছিয়ায় নিজের গড়া বাড়ি ‘সেনা নিকেতন’ পরিবার পরিজনের সাথে কাটাবেন অবসরকালীন সময়। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন প্রদীপ নিভে গেল বুধবার রাতে বান্দরবানের রুমা জোনের সেনা টহল দলের সাথে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূলদলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় নিহত হওয়ার পর। এখন তার স্বপ্নের বাড়ীর দক্ষিণ পূর্ব কোনে উঠনেই চলছে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি। বিকেলে জানাজা শেষে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে এখানেই দাফন করা হয়।
এদিকে হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর খবর জানার পর তার বাড়ীতে নেমে আসে শোকের ছায়া। আত্বীয়-স্বজনসহ শুভাকাংখীদের ভীড় আর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। নিহত সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি জেলার মহিপুর থানার লতিপুর এলাকায় হলেও পটুয়াখালী শহরের ১নং ওয়ার্ড এর বহালগাছিয়ায় বাড়ি করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন। নিহত হাবিবুর রহমান বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলেও সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে বর্তমানে কক্সবাজারের কর্মরত আছেন।
নিহত হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে হাসিবুর রহমান বলেন, পাহাড়ে মোবাইলে নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় বাবার সাথে সব সময় কথা বলতে পারতাম না। সে যখন ফোন করতো তখনই কথা বলতে পারতাম। ছিল। গত রাতেও আব্বার সাথে কথা হয়েছে। আব্বা বলছে কোন ভুল করলে ক্ষমা করে দিও। একটা অভিযানে যাচ্ছি। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে খবর আসলো বাবা আর নেই।
উল্লেখ্য বান্দরবানের রুমার দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় সেনাবাহিনীর সাথে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মুলদলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে গোলাগুলির সময় মাথায় আঘাত লেগে নিহত হন সেনা বাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান। পায়ে গুলি লেগে আহত হয় এক সৈনিক। এসময় তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসীও নিহত হয়।
জেআর/এমআর
