আমতলীতে জিএম দেলওয়ারেই আস্থা তৃণমূলে

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে জিএম দেলওয়ারেই আস্থা তৃণমূলে
রবিবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


 

  1. ---
  2. আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
    আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্ষিয়ান রাবনীতিবীদ সফল উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলওয়ার হোসেনের উপর তৃণমূল মানুষের আস্থা রয়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেলে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে পারে এমনটাই ধারনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির। দীর্ঘ ৫৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যার কাছে মানুষ পেয়েছে অফুরান্ত ভালবাসা। তিনি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে অধিষ্ট হয়ে মানুষের  আস্থা অর্জন করেছেন। দীর্ঘ ৩০ বছর আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক সফলতার জন্য ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
    ১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন জিএম দেলওয়ার হোসেন। ছাত্র রাজনীতির শুরুতেই ছাত্র লীগের সভাপতি হন ওই বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ। ছাত্র রাজনীতিেিত যুক্ত হয়েই কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন এবং আন্তর্জাতিক ক্রক মিশন বাস্তবয়নে আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন বিরোধী  দলীয় নেত্রী ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচন এবং মুসলিমলীগ লীগ বিরোধী কফ আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন তিনি। মুসলিম লীগ বিরোধী কফ আন্দোলনে অংশগ্রহনের কারনে তৎকালিন সরকারের রাজনৈতিক মামলায় তাকে জেলে যেতে হয়। দুই মাস তিনি জেল হাজতে ছিলেন। ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয়ে গুরুত্ব পদে আসিন হন। ১৯৬৬’র  ছয় দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রত্যাহারের আন্দোলন যুক্ত হন। এ আন্দোলনে অংশগ্রহনের কারনে তিনি ১৫ দিন জেল হাজতে যান। ১৯৬৯ গণঅভ্যূথান ও ১৯৭০’র নির্বাচনে দলের পক্ষে সংক্রিয়ভাবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। গঠন করেন সংগ্রাম কমিটি। আমতলী সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হয়ে যুবকদের সুসংগঠিত করে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন এবং তিনি ভারতের (পিকার ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ছিপার অধীনে) প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। ১৯৭৫ সালে তৎকালিন সরকারের রাজনৈতিক মামলায় তিন মাস কারাভোগ করেছেন তিনি। কারাগার থেকে বের হয়েই তিনি আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮৪ সালে তার দলীয় কর্মদক্ষতার কারনে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯১ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হন। ওই সময় থেকে অদ্য পর্যন্ত আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার দলীয় কর্মদক্ষতায় সাধারণ মানুষ সস্থিতে রয়েছেন। দীর্ঘ ৫৭ বছর রাজনৈতিক জীবনে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়া কিছুই পায়নি। শুধু ২০১৪ সালে কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগ তাকে আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেয়। নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ পাঁচ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোন মানুষকে হতে হয়নি হয়রানীর স্বীকার। তার এত সফলতার জন্যই আমতলী উপজেলা তৃণমূল নেতাকর্মীরা স্বস্তিতে রয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ  আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জিএম দেলওয়ারকেই পেতে চায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি জড়িপে দেখাগেছে, ৫৪ জন মন্তব্য দাতাদের মধ্যে ২৮ জন জিএম দেলওয়ারকে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চায়।
    আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসাবে জিএম দেলোয়ার হোসেনকে দলীয় মনোনায়ন দেয়ার জন্য মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী  আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানিয়েছেন উপজেলার সর্বস্তরের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম জমা দিয়েছেন এবং এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবিদ বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম দেলোয়ার হোসেন।
    তৃণমুল নেতাকর্মী এ্যাড. নুরুল ইসলাম, আহুরুজ্জামান আলমাস খান, মজনু মৃধা, হাবিবুর রহমান  ও ওয়াজেদ আলী খান বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জিএম দেলওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতাকর্মীরা স্বস্তিতে রয়েছেন। তার সুশৃঙ্খল দলীয় কর্মকান্ড দলের সকল নেতাকর্মীদের কাজে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোড় দাবী জানাই।
    আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলওয়ার  হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জেবিত হয়ে  দীর্ঘ ৫৭ বছর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের সময় সাহসিকতার সাথে দল পরিচালনা করেছি। কখনো নিজেকে স্বার্থের কাছে বিকিয়ে দেয়নি। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে আমাকে আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গত পাঁচ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। আশা করি এবারও প্রধানমন্ত্রী আমাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন দিবেন।
    এইচএকে/এনইউবি

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৩:১৬ ● ৬০১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ