জাতির পিতাই প্রথম সমুদ্রসীমা আইন প্রনয়ন করেন- প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পাতা » জাতীয় » জাতির পিতাই প্রথম সমুদ্রসীমা আইন প্রনয়ন করেন- প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ● ৬ মে ২০২১


জাতির পিতাই প্রথম সমুদ্রসীমা আইন প্রনয়ন করেন- প্রধানমন্ত্রী

পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মিয়ানমারের সালে আলোচনার মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করেছিলেন। ভারতের সাথেও তিনি সমুদ্রসীমা নির্ধারনের জন্য আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। জাতির পিতাই প্রথম সমুদ্রসীমা আইন প্রনয়ণ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে। রয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দর। এসব বন্দরের জন্য জাতির পিতা ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তর পরবর্তী জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ ও খালেদা জিয়া তাদের ড্রেজার সংগ্রহে কোনো মনোযোগ ছিল না।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, নৌ-পথকে আরও কার্যকরী করতে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ হাজার কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। জলপথে চলাচলকারী প্রতিটি নৌযানের রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিত। রেজিস্ট্রেশন না থাকলে কখন কে কী নৌ-যান চালাচ্ছে বোঝা যায় না। উপযুক্ত প্রশিক্ষনের নৌ-যান পরিচালনা করা হলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।
জানা গেছে, ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথ উন্নয়ন, উপকূলীয় এলাকার যাত্রী পরিবহন ও দক্ষ নৌকর্মী গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ও আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ১০হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ খননে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার এবং ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান প্রস্তত করা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিআইডব্লিউটিসির দুটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ এবং ‘এমভি আইভি রহমান’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেজ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।
বলা হচ্ছে, নৌ-পথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে ২০টি ড্রেজার বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে যুক্ত হয়ে মোট ৪৫টি ড্রেজারের শক্তিশালী ইউনিট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সরকারের বর্তমান মেয়াদে ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। এসব অবকাঠামো এবং জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ-সেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসঙ্গে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

জেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৭:১২ ● ১৫৮৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ