কলাপাড়ায় টাকা না দিয়েই মগনীর সম্পত্তি দলিল করে নেয়ার অভিযোগ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় টাকা না দিয়েই মগনীর সম্পত্তি দলিল করে নেয়ার অভিযোগ
মঙ্গলবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০২১


কলাপাড়ায় টাকা না দিয়েই মগনীর সম্পত্তি দলিল করে নেয়ার অভিযোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

বিধবা, অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধা রাখাইন নারী উচাইনো মগনীর ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা শোধ না করে পাঁচ একর ৯৮ শতক জমির দলিল করে নেয়া হয়েছে। দলিল রেজিস্ট্রির পরে ভেন্ডারের (দলিল লিখক) চেম্বারে গিয়ে দেয়ার কথা বলে চম্পট দিয়েছে রুবেল সিকদারসহ তার সহযোগী চক্র। এই টাকা চাইতে গেলে তালবাহানার এক পর্যায়ে অস্বীকৃতি জানিয়ে খুন-জখমের হুমকি দেয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ এনে প্রতিকার চাইতে রাখাইন উচাইনোর মেয়ে উম্যাচিন তালুকদার কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। সোমবার এ মামলাটি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মেলাপাড়া গ্রামের বিধবা ওই রাখাইন নারী প্রায় ছয় একর জমি বিক্রির জন্য জমি বেচাকেনার দালাল রুবেল সিকদারের মাধ্যমে লালুয়ার বানাতি গ্রামের কাঞ্চন মাঝির ছেলে আঃ ছালাম মাঝির সঙ্গে ওই জমি বিক্রির জন্য ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন সময় উচাইনো মগনীকে ৩৩ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। বাকি টাকা দলিল সম্পাদনের সময় দেয়ার কথাবার্তা চুড়ান্ত হয়। ৫ নবেম্বর চুক্তিমতে খেপুপাড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনের জন্য যায় উভয়পক্ষ। তখন বাকি সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা চায়। দলিলে স্বাক্ষর দেয়ার পরে বাকি টাকা দেয়ার কথা বলা হয়। সরল বিশ^াসে রাখাইন উচাইনো সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিলে সই দিয়ে সম্পাদন করে দেয়। ভেন্ডারের অফিসে যেতে বলা হয় তাঁদের। কিন্তু সেখানে গিয়ে বলা হয় বাড়িতে গিয়ে বাকি টাকা দেয়া হবে। একত্রে বাড়িতে রওয়ানা দেয়ার পথে আসামিরা সটকে পড়ে। পরের দিন ৬ নবেম্বর বৃদ্ধা উচাইনো তার মেয়ে উম্যাচিনকে নিয়ে রাকিবুলের বাড়িতে গেলে টাকা না দেয়ার জন্য বলে দেয়া হয়। বর্তমানে বিধবা উচাইনোসহ তার গোটা পরিবার আছেন চরম আতঙ্কের মধ্যে। বিজ্ঞ আদালত কলাপাড়া থানার এসআই আল-আমিনকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি রুবেল সিকদার জানান, মূলত তাকে হয়রানির জন্য এই মামলাটি করা হয়েছে। এজমি বিক্রি করছে যার কাছে তাকে রহস্যজনকভাবে স্বাক্ষী রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মামলার বাদীর স্বামী মংতেন হাওলাদার তার অপর একটি জমি বিক্রির জন্য আমার সঙ্গে বায়না চুক্তি সম্পাদন করেছে। মোটা অংকের টাকাও নিয়েছে। কলাপাড়া থানার এস আই আল আমিন জানান, মামলার নথি পেলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৮:২৭ ● ৫০৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ