পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১২) প্রতিবেশী ফিরোজ মোল্লা (৫০) নামের এক লম্পট কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এতে ওই স্কুলছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পুলিশ শুক্রবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় ভূক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক ফিরোজ মোল্লাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ মোল্লা শ্বশুর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। বিগত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রতিবেশী দরিদ্র কাঠমিস্ত্রির মেয়ে পঞ্চম শ্রণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর যাতে ঘটনা কাউকে না বলে, তারজন্য মেয়েটিকে সে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার চার মাস পর মেয়েটির পরিবার মেয়েটির স্বাস্থ্যগত পরিবর্তন লক্ষ্য করলে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এরপরে বিষয়টি স্থানীয় এক প্রভাবশালীর মাধ্যমে ধর্ষক ফিরোজ মোল্লা সামাজিকভাবে ফয়সালার নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। শুক্রবার দুপুরে মেয়েটি অসুস্থ বোধ করলে তার পরিবার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভান্ডারিয়া শহরের এক ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে। এ সময় মেয়েটি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পরে।
পুলিশ খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারসহ সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে। রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ মোল্লাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ভান্ডারিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা জানান, ঘটনার দিন তিনি বিকেলে জরুরি কাজে ভাইয়ের বাড়িতে যান। তার বাড়িতে ফিরতে রাত হয়। এসময় তার স্বামী কাজে বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে লম্পট ফিরোজ মোল্লা ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষক মেয়েকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরএইচএম/এমআর
