পায়রা বন্দরে ভূমি অধিগ্রহন- ক্ষতিগ্রস্থ ১২৫ পরিবারকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ

প্রথম পাতা » পায়রা বন্দর » পায়রা বন্দরে ভূমি অধিগ্রহন- ক্ষতিগ্রস্থ ১২৫ পরিবারকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ
সোমবার ● ৮ জুন ২০২০


পায়রা বন্দর

কলাপাড়া  (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তৃতীয় গভীর সমুদ্র বন্দরের কোল টার্মিনাল নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জায়গা অধিগ্রহণে ১২৫ পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ নামের তালিকা থেকে বঞ্চিত করার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বেনামী একটি আবেদনের কারন দেখিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা থেকে তাদের নাম বাতিল করার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়।  রবিবার (৭ জুন) সকালে ক্ষতিগ্রস্থ ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বেনামী আবেদনের কার্যক্রম বন্ধ সাপেক্ষে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নামের তালিকায় তাদের ১২৫ পরিবারের নাম বহাল রেখে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার হিসাবে সরকারি সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেন।
অভিযোগে জানা যায়, পায়রা সমুন্দ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের বন্দরের কোল টারর্মিনাল নির্মানের জন্য নিশানবাড়িয়া মৌজায় ভূমি অধিগ্রহন করেন। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের যৌথ টিম অত্র এলাকায় তদন্ত করে ১২৫ টি পরিবারের বাড়িঘর, গাছ, পুকুর ও ঘেড় ক্ষতিপূরণের আওতাভূক্ত করেন। কমিটির সকল ধরনের তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগকারীরা ৪ ও ৭ ধারা পেয়ে ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের আওতায় ড্রাইভিং ও অন্যান্য ট্রেনিং সহ সরকারের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধাও ভোগ করে আসছেন। কলাপাড়া ফরেষ্ট অফিস ১২৫ টি পরিবারের গাছের তদন্ত শেষ করে পটুয়াখালী এল,এ শাখায় প্রতিবেদন প্রেরন করেছেন। এমনকি গনপূর্ত অফিস, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে যৌথ তদন্তের ফিড বহি হাতে পেয়ে তারা ৮ ধারা নোটিশের অপেক্ষায় ছিল । এমতাবস্থায় গত ১৯ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পায়রা কর্তৃপক্ষের অফিসের এল.এ শাখার কানুনগোসহ যৌথ একটি টিম পুন:রায় নিশানবাড়ীয়া মৌজার ঘরবাড়ী তদন্তের জন্য হাজির হয়। এলাকাবাসী পুর:রায় তদন্তের কারন জানতে চাইলে তদন্তকারী অফিসাররা জানায়, স্থানীয় মো. কুদ্দুস তালুকদারের পুত্র মো. রাসেল তালুকদার নামের একজন ব্যক্তি পটুয়াখালী এল,এ অফিসে পুন:রায় তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে উক্ত ব্যক্তি নিজে কোন অভিযোগ দাখিল করেননি ও আবেদনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেনা বলেও জানান। অধিকন্তু, রাসেল তালুকদার তার নাম ব্যবহার করে বেনামী আবেদনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য পটুয়াখালী এল.এ অফিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, উক্ত বেনামী আবেদনের সাথে রাসেল তালুকদারের ছবি ও আইডি কার্ডের কপিও সংযুক্ত ছিলনা। কোন একটি কুচক্রি মহল অবৈধ ফয়দা নেয়ার জন্য হীন কাজ করতে পারে বলে অভিযোগকারীরা দাবী করেন।
যাতে কুচক্রিমহলের অবৈধ উদ্দেশ্য হাসিল না হয় ও অসহায় অভিযোগকারী ১২৫ পরিবার সুষ্ঠ সমাধান সাপেক্ষে তাদের নাম ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকায় অন্তভূক্ত থাকে এজন্য বেনামী আবেদনের কার্যক্রম বন্ধ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
এবিষয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কবির কল্লোল’র মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৬:৪৪ ● ৬৫২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ