চরফ্যাশনে ট্রাক-ট্রলি ভাঙছে রাস্তা, মেরামত জরুরী

প্রথম পাতা » ভোলা » চরফ্যাশনে ট্রাক-ট্রলি ভাঙছে রাস্তা, মেরামত জরুরী
বৃহস্পতিবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২০


চরফ্যাশন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সড়ক ও সিকদার সড়ক এভাবে ইটবোঝাই ট্রাকে ভেঙ্গেচুরমার করছে।

আমির হোসেন, চরফ্যাশন সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের দু’টি রাস্তারই বেহাল দশা। যাতায়াত অনপুযোগি হয়ে পড়েছে মানুষসহ ছোট যানবাহন। করোনার মধ্যেও অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সড়ক ও সিকদার সড়ক দু’টি দিয়ে বেতুয়া ঢাকা লঞ্চের যাতায়াতের রাস্তাটি ইট টানা ট্রাক-ট্রলি অতিরিক্ত বোঝাই পরিবহন কারণে দু’পাশ দেবে গিয়ে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীরা বলছেন রাস্তা ওয়েট আছে ৫/৬টন টানার কিন্তু দেখা গেছে ১০/১২টন নিয়ে গাড়ি মালবোঝাই করে রাস্তা ভেঙ্গে চুরমার করছে। আমরা কতদিন পাহাড়া দিতে পারবে বলে এড়িয়ে যান। এলাকাবাসীর অভিযোগ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ইট, বালুর ট্রাক এবং একাধিক ব্রিক্সের ইটের গাড়ি যাতায়াতের ফলে নতুন রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হওয়া আসলামপুর ঠেলাখালির নতুন ব্রীজ হয়ে সিকদার সড়ক দিয়ে যাচ্ছে। নতুন এই সড়কটি কিভাবে ভেঙ্গে চুরমার করছে দেখার যেন কেউ নেই। তবে পুরোপুরি ভেঙ্গে গেলে আবুগঞ্জ বাজার ও চরফ্যাশন শহরে আসার বিকল্প রাস্তাও নেই তখন দুর্ভোগের সীমা থাকবেনা বলে দাবী আসলামপুরবাসীর। আবুগঞ্জবাজার সংলগ্ন সিকদার সড়কটি মানুষ চলাচলের দুর্ভোগ সচিত্র প্রতিবেদন একটি দৈনিকে প্রকাশের পর মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উক্ত কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দেন। প্রাণের দাবী রক্ষা করলেও রাক্ষুসি ইটের ট্রাকে ওই পাকা সড়কটি ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। এলাকাবাসী দাবি করে বলেন, প্রিয় নেতা আপনি চাইলে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা রক্ষার্থে এই রাস্তাটি সচল থাকবে। অন্যথায় ইটভাটার গাড়ি ও বালুর খলার গাড়ি যাতায়াতে ওই নতুন ব্রীজসহ বিলীন হয়ে যাবে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হবে এলাকার মানুষেরা।
যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন লাল্টু বলেন,২০১৯সালে শেষ দিকে ঠেলাখালির উপর দীর্ঘতম সেতুটি করেছে। এখনও দু’পাশের স্পেচ শক্ত হতে না হতে দৈনন্দিন ইটবোঝাই ২০/৩০টি ট্রাক ওই ব্রীজটি উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। কে শুনে কার কথা। এলাকাবাসী এ বিষয় নিয়ে বার বার সংবাদকর্মী ও জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদ সদস্যকে জানানোর অনুরোধ করলেও কেউ সংসদ সদস্যকে না জানার ফলে কোন সুফল পায়নি তারা।
উপজেলা প্রকৌশলী মোশারেফ হোসেন বলেন, রাস্তা ওজন নেয়ার ক্ষমতা আছে ৫/৬টন, কিন্তু দেখা গেছে ১০/১২টন নিয়ে গাড়ি মালবোঝাই করে রাস্তায় যাতায়াত  করেছে ফলে সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ সড়ক গুলো মেরামত করতে হলে বরাদ্দের চাহিদা ও সময়ের প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৭:৩১ ● ৩৭৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ