কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
বর্ণাঢ্য আয়োজনে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার ‘চর বিজয়ের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ‘চর বিজয়’ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হতেপারে বরিশাল বিভাগের ২য় সেন্টমার্টিন।
কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের ভেতরে গেলে দেখা মেলে এই দ্বীপটির। প্রকৃতির খেলায় জেগে ওঠা নয়নাভিরাম এই চরটি প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা ও দেড় কিলোমিটার চওড়া। চারিদিকে অথৈ সাগরে ঘেরা এই চরটিতে সব সময় থাকে হাজারো অতিথি পাখির কোলাহল। লাল কাকড়ার দৌড়াদৌড়িতে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। নানান প্রজাতির পাখি, ছোটমাছ, লাল কাঁকড়া সহ এ চরটি যেন টুরিস্ট প্রিয় মানুষদের প্রতি আল্লাহর এক অপার অনুগ্রহের নমুনা।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্ভরে এ চরটি উদ্ভাবন করেন প্রতিভাবান সাংবাদিক হোসাইন আমির, ফটোগ্রাফার আরিফুর রহমান, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মাও মাঈনুল ইসলাম মান্নান, কুয়াকাটা সী ট্যুরিজমের পরিচালক ও শিল্পী জনি আলমগীর, ঢাকার দুই পর্যটকসহ মোট ১৩ জন । বিজয়ের মাসে এ চরটাকে খুজে পাওয়ায় তার নাম দেওয়া হয় ‘চর বিজয়’। ওই বছরই দেশে বিদেশে ব্যাপক সারা মিলে কুয়াকাটার নতুন স্পট।
এ বছর ৪ ডিসেম্বর বুধবার চরবিজয়ের ৩য় বার্ষিকীতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে নানা কর্মসূচী পালন করে চরবিজয় সোসাইটি। চারিদিকে পানি মাঝখানে বিশাল এলাকাজুড়ে জেগে উঠা চরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ব্যানার ফেষ্টুন, কেক কাটা, ঘুড়ি উৎসব, ক্রিকেট ম্যাচ, ফুটবল ম্যাচ, ঝাকিজাল দিয়ে মাছ ধরা, বারবিকিউ পার্টি, বাউলগানের আসর, জারি গান সহ ছিল ব্যাপক আয়োজন।
বুধবার সকাল ১০টার মধ্যেই প্রায় শতাধিক পর্যটক চরবিজয়ে পৌছান। পরে কেক কেটে কর্মসূচী উদ্বোধন করেন কুয়াকাটার পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা। এরপর শুরু হয় অন্যান্য ইভেন্ট। এতে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক মাঃ মাঈনুল ইসলাম মান্নান, চর বিজয়ের উদ্ভাবক সাংবাদিক হোসাইন আমির, আরিফুর রহমান, জনি আমলগীর, বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন-অর-রশিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাজমুল হক সহ প্রায় শতাধিক পর্যটক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় প্রথমবারের মত বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য একটি টিউবওয়েল স্থাপন, রিং-স্লাব দিয়ে একটি টয়লেট নির্মাণ ও পর্যটকদের ছায়া দেওয়ার জন্য একটি অস্থায়ী তাবু স্থাপন করা হয়। তাছাড়া চরটিকে সবুজে রূপান্তরে কয়েক’শ বৃক্ষ রোপন করা হয়।
এএইচ/এমআর