রবিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৫
বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহে মানববন্ধন
হোম পেজ » বরগুনা » বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহে মানববন্ধন
সাগরকন্যা প্রতিবেদন,বরগুনা
সারা দেশের ন্যায় বরগুনায় অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য রোগজীবাণুনাশক ওষুধের অযথা ব্যবহার রোধ এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত হয়েছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও র্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম।
আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ একটি নাগরিক মঞ্চ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা নির্ভর স্বাস্থ্যনীতি প্রচারণা ও দাবি দাওয়া ভিত্তিক কাজ করে আসছে। সংগঠনটি দেশের আটটি বিভাগের আটটি জেলায় স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম ও যুব স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা এবং প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্বাস্থ্য দিবস পালন তাদের অন্যতম প্রধান উদ্যোগ।
২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম ‘বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ’ চালু করে। ২০২০ সাল থেকে এটি ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ’ নামে পরিচিত হয়। কারণ শুধু অ্যান্টিবায়োটিক নয়, ছত্রাক নাশক, ভাইরাস নাশক এবং পরজীবী নাশকওষুধের বিরুদ্ধেও জীবাণুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে। ডব্লিউএইচওর পাশাপাশি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, আন্তর্জাতিক প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থা এবং পরিবেশ বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা যৌথভাবে এই সচেতনতা সপ্তাহ পরিচালনা করে। ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণার অধীন মানব, প্রাণী ও পরিবেশকে একসঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
বরগুনায় আয়োজিত মানববন্ধনের পর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে
র্যালি শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজের সাবেক উপপরিচালক ডা. আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস আলী, জেলা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা, জেলা বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ হাওলাদারসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, রোগজীবাণুনাশক ওষুধের অযথা ও অতিরিক্ত ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনছে। দেশে যেসব রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, তাদের নমুনায় প্রায় ৭০–৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ওষুধ-প্রতিরোধী জীবাণু পাওয়া যায়। কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আগামী প্রজন্মের জন্য এএমআর এক ধরনের মহামারি হয়ে উঠতে পারে।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৯:১৩ ● ২৯ বার পঠিত
