
সাগরকন্যা প্রতিবেদন, নেছারাবাদ (পিরোজপুর)
পিরোজপুর-২ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আহম্মদ সোহেল মনজুর সুমন বলেন, শিক্ষকরাই জাতি গঠনের কারিগর। আমি নির্বাচিত হলে নেছারাবাদ-ভান্ডারিয়া-কাউখালী উপজেলার শিক্ষা খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ-অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করব। শিক্ষকদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। আপনারা আমাকেও সহযোগিতা করবেন। একটি সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে বিএনপির অঙ্গীকার বাস্তবায়নই আমার লক্ষ্য। এই অবহেলিত অনুন্নত এলাকাকে উন্নত করতে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারাই সমাজের সবচেয়ে বড় অভিভাবক। এ নির্বাচন পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই মন্তব্য করেন নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষক পরিবারের মতবিনিময় সভায়। সভা শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরূপকাঠী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ, স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মোঃ কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মইনুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হাফিজ সিকদারসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
জলাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও কামারকাঠী এনকে ইনস্টিটিউটের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মেহেদী সরোয়ারের সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মোজাদ্দেদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মোশতাক আহমেদ।
প্রধান অতিথি মোঃ নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের জনগণ পরিবর্তন চায়। বিএনপি মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অবিচল। পিরোজপুর-২ আসনে সোহেল মনজুর সুমন একজন পরিচ্ছন্ন ও যোগ্য প্রার্থী। শিক্ষক সমাজ তাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করলে বিজয় নিশ্চিত।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভা শেষে শিক্ষক সমাজ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আহম্মদ সোহেল মনজুর সুমনকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিন বিকেলে সরকারি স্বরূপকাঠী পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আহম্মদ সোহেল মনজুর সুমন। টুর্নামেন্টে মোট ১৬টি দল অংশ নেয়। ফাইনালে ব্যাচ-১৬ দল ২-০ গোলে মাতৃভূমি ক্রিয়া সংঘকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।