
উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালী কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নে নিশানবাড়িয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে নবান্ন উৎসব। বুধবার বেলা ১১টায় শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ সেবাশ্রমের উদ্যোগে বের হয় বর্ণাঢ্য র্যালি। এতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। র্যালি চলাকালীন ঢঙ্কার বাদ্য আর উলুধনিতে মুখরিত হয় পুরো গ্রাম।
র্যালির পর আশ্রম প্রাঙ্গণে খাওয়ানো হয় নতুন ধানের চালের মলিদা, মুড়ি এবং খৈ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবর ফকির, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মামুন শিকদার, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজ তালুকদার, শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ সেবাশ্রম কমিটির উপদেষ্টা করুন সরকারসহ আরও অনেকে।
অতিথিরা বলেন, ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে অগ্রহায়ণ মাস এসেছে। এ মাসের প্রথম তারিখেই গ্রাম বাংলার মাঠে নতুন ফসল দেখা দেয়। নতুন ধান কাটা এবং প্রথম ধানের খাবারের আনন্দকে কেন্দ্র করে পালিত হয় নবান্ন উৎসব। এ দিনে কৃষকদের ঘরে ঘরে আনন্দ দেখা যায়।
আয়োজকরা জানান, কৃষি প্রধান দেশে শস্যভিত্তিক উৎসবের সংস্কৃতি হিসেবে নবান্ন পালন হয়ে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। অগ্রহায়ন মাসে আমন ধান পাকতে শুরু করে, তাই নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দ উদযাপনের মাধ্যমে বাড়িয়ে তোলা হয়। তাদের ধারণা, কৃষিকাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শস্যভিত্তিক নবান্ন উৎসব শুরু হয়।
শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ সেবাশ্রমের সভাপতি রনজিৎ শিকদার বলেন, তারা প্রতি বছরই নবান্ন উৎসব পালন করেন। দিনভর চলে নানা অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, অগ্রহায়ন মাস জুড়ে কৃষকরা মাঠে ধান কাটায় নিয়োজিত থাকেন। কৃষাণিরা থাকেন ঢেঁকিতে ধান ভানায় ব্যস্ত।