
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)
ঢাকার মীরপুর শিয়ালবাড়ীর কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরএন ফ্যাশন পোশাক কারখানার জিএম প্রকৌশলী আল মামুনের দাফন সোমবার দুপুরে আমতলীর তারিকাটা গ্রামের বাড়ীতে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে দুই দফায় জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
মৃত্যুর পাঁচ দিন পর রবিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। সোমবার সকালে মরদেহ আমতলীতে তার শ্বশুর আব্দুস সালামের বাড়ীতে আনা হয়। সেখানে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান এ্যামি এবং দুই শিশু সন্তান ইসতিয়াক আহমেদ ইবাদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ মুসাফ থাকে।
মরদেহ বাড়ীতে আনা হলে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে হৃদয়বিদারক দৃশ্য সৃষ্টি হয়। পরে আমতলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জানাযা, এবং তারিকাটা গ্রামে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ছেলের এমন মৃত্যুতে বৃদ্ধা মা আম্বিয়া বেগম বাকরুদ্ধ। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘মোর আর কেউ নাই। কেডা মোরে ঔষধ কেনার টাহা দেবে।’
স্ত্রী ইসরাত জাহান এ্যামি বলেন, যার যাবার সেতো চলে গেছে। এখন দুইটি শিশু সন্তান কিভাবে মানুষ করবো, তা নিয়ে ভাবছি।
প্রকৌশলী আল মামুনের শ্বশুর ইউনুস আলী খান কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুস সালাম জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর করেছে। দুই দফায় জানাযা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ী তারিকাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন জানান, সরকারি নিয়ম অনুসারে নিহত প্রকৌশলী আল মামুনের পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে।