
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আগৈলঝাড়া (বরিশাল)
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকে দলীয় অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা উত্তর কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. জামাল হোসেন এবং সদস্য সচিব মো. সেলিম হোসেন ৭২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন। অভিযোগ উঠেছে, সদস্য সচিব সেলিম হোসেনের বাড়ি উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামে হওয়ায় ওই ইউনিয়ন থেকেই কমিটির ২২ জন সদস্য রাখা হয়েছে, যেখানে বাকি চারটি ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা ৫০ জন।
উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. হাসান কাজীকে কমিটিতে রাখা হয়েছে ৪ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক পদে। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে হেয় করার জন্য একটি মহল এমনটি করেছে। তিনি দাবি করেন, বরিশাল-১ আসনের চারজন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাই এই কমিটি গঠনের বিষয়ে অবগত নন।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কমিটির সদস্য সচিব বর্তমানে উজিরপুর থানার বড়াকোঠা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিরত এবং তিনি অতীতে দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন না। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান মোল্লাও দলের কোনো কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন না। এমনকি ২৭ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিরাজ হাসান আকাশ গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন।
বিক্ষুব্ধ নেতারা অভিযোগ করেন, দলীয় আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় ও বিদেশে থাকা ব্যক্তিদের অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে। তারা এই কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা সোলায়মান সরদার, সাগর হাওলাদার, শোভন হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, শাহাদাত সরদার, সিরাজ সরদার ও বাদশা বেপারীসহ আরও অনেকে।