
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে দুইটি কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার কক্ষে দরজা ভেঙে হামলাকারীরা প্রবেশ করে। তারা চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর করে।
ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল পাশা বলেন, প্রথমে শুনলাম তারা মানববন্ধন করছে। পরে তাদের মিছিল আমার বাড়ির দিকে যায়। তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর ইউনিয়ন পরিষদে এসে দুই কক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে চলে যায়। তারা বায়েজিদ বাহিনী নামে পরিচিত। ৫ আগস্টের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত চাল, টাকা এবং সরকারি কাজসহ বিভিন্ন সুবিধা চাচ্ছিল। আমি রাজি না হওয়ায় তারা বিভিন্ন অরজগতা করছে।
জানা গেছে, বায়েজিদ আহমেদ কালু উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, এ বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে আমাদের জমিজমা নিয়ে শালিস হয়েছিল। ঠিকমত মাপঝোপ না করে চেয়ারম্যান কামাল পাশা প্রতিপক্ষের হয়ে রায় দিলে আমার ভাই শিমুল ফরাজী প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শালিসের প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের পর পরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর চালিয়েছে। আমাদের কাছে এ ঘটনার প্রমাণ আছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম হাওলাদার বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের খবর পেয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব দাশ পুরকায়স্থ জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।