মহিপুর-আলীপুরে বেড়েছে সরবরাহ পাইকারি দাম কমলেও খুচরায় স্থিতিশীল ইলিশের বাজার

হোম পেজ » পটুয়াখালী » মহিপুর-আলীপুরে বেড়েছে সরবরাহ পাইকারি দাম কমলেও খুচরায় স্থিতিশীল ইলিশের বাজার
রবিবার ● ১০ আগস্ট ২০২৫


 

মহিপুর-আলীপুরে বেরেছে ইলিশের সরবরাহ

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া থেকে (পটুয়াখালী)

বৃহস্পতিবার থেকে সাগরে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।

আলীপুর-মহিপুর ও কুয়াকাটার শতাধিক আড়তে মালিক, কর্মচারী ও জেলেদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার ও মহাজনরা এসে ট্রাক বোঝাই করে ইলিশ নিয়ে যাচ্ছেন।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, জ্যৈষ্ঠ থেকে আশ্বিন ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও এ বছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত মাছ পাননি জেলেরা। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সাগরে ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি। আড়তে তোলা, ওজন করা ও হিসাব লেখার কাজে সবাই ব্যস্ত।

পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে ইলিশ এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, ক্রেতাসাধারণের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

রোববার পাইকারি বাজারে ১ কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৭০-৭৫ হাজার টাকায়, ৬০০-৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৫৮ হাজারে এবং ৩০০-৬০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ২১ হাজার ৫০০ টাকায়। যা ১০ দিন আগের চেয়ে মণপ্রতি ১০-২০ হাজার টাকা কম।

তবে খুচরা বাজারে একই দামে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি সাইজের ইলিশ এখনও ২,৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা বরুণ কর্মকার বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে কোনো পরিবর্তন নেই, সাধারণ মানুষের পক্ষে ইলিশ কেনা অসম্ভব। শিক্ষক মো. তারিকুজ্জামান বলেন, গোনা পয়সায় চলা মানুষের জন্য ইলিশ এখন বিলাসী খাবার হয়ে গেছে।

মহিপুর মৎস্যবন্দরের হাওলাদার ফিশের স্বত্বাধিকারী আ. জলিল হাওলাদার বলেন, পাইকারি বাজারে মণপ্রতি ১০-২০ হাজার টাকা দাম কমেছে। এভাবে মাছ ধরা পড়লে ক্রেতা ও ব্যবসায়ী- দুই পক্ষেরই ভাল লাভ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪০:৪০ ● ৯০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ