
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, ঢাকা
নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে (আইজিসিসি) আয়োজন করা হয় বিশেষ রবীন্দ্রসঙ্গীত অনুষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় আইজিসিসিতে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দুই খ্যাতিমান শিল্পী- তানজিনা তমা এবং দেবলীনা সুর। তাঁদের কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীতের আবেগঘন পরিবেশনায় বিমুগ্ধ হন শ্রোতারা।
আইজিসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আজকের আয়োজন কেবল একজন ব্যক্তির প্রয়াণে স্মরণ দিবস নয়- এটি তাঁর সৃষ্টিশীল জীবনের উদযাপন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজিসিসির পরিচালক মিস অ্যান ম্যারি জর্জ। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এক জীবন্ত সেতুবন্ধন- বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ ও ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জন গণ মন’- এই দুটি গানের রচয়িতা তিনি। তাঁর সাহিত্য, সুর ও চিন্তাধারা যুগের পর যুগ দুই দেশের মানুষের হৃদয়ে জেগে আছে।
মিস জর্জ আরও বলেন, ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর শিক্ষাদর্শ ও সংস্কৃতিচিন্তার অনন্য প্রতিফলন। প্রতিবছর ভারত সরকার বাংলাদেশের শত শত শিক্ষার্থীকে আইসিসিআর বৃত্তি দিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে।’ মিস দেবলীনা সুর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত শিক্ষা গ্রহণ করেন উল্লেখ করে মিস জর্জ বলেন, ‘মিস দেবলীনা’র মতো শিক্ষার্থীরা সেই উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেন।’
তিনি সত্যজিৎ রায়ের একটি উদ্ধৃতির মাধ্যমে বক্তব্য শেষ করেন: ‘১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট, কলকাতায় এক মানুষ প্রয়াত হন। কিন্তু তিনি রেখে গেছেন এমন এক ঐতিহ্য, যা অগ্নিতে পুড়ে যায় না- শব্দ, সঙ্গীত, কবিতা ও আদর্শের চিরঞ্জীব ভাণ্ডার।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের সদস্য, ‘ভারত বিচিত্রা’র প্রতিনিধিরা, বিশিষ্ট শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ রবীন্দ্রপ্রেমী দর্শকরা। আয়োজনে ছিল আন্তরিকতা ও শ্রদ্ধার ছাপ- যা ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে।