কলাপাড়া কুমিরমারায় করলার ক্ষতি, আশার নাম বোম্বাই মরিচ

হোম পেজ » পটুয়াখালী » কলাপাড়া কুমিরমারায় করলার ক্ষতি, আশার নাম বোম্বাই মরিচ
শনিবার ● ২ আগস্ট ২০২৫


---

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুমিরমারা গ্রামের করলা চাষীরা এ বছর বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। টানা আট দিনের বৃষ্টিতে শত শত ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিবছর এই সময় গ্রাম থেকে দৈনিক ৭-৮ টন করলা পাখিমারা আড়তে যেত, এবার এক টনও যাচ্ছে না।

তবে চাষীরা থেমে নেই। আধুনিক মাচান আর শেড পদ্ধতিতে বোম্বাই মরিচের আবাদ শুরু করেছেন। শত শত গাছে এখন ফুল ও ফল ধরছে। নতুন ফসলই হয়ে উঠেছে তাঁদের ভরসা।

৭৫ শতকে করলার আবাদ করা প্রবীণ চাষী সুলতান গাজী জানান, এবছর অন্তত দেড় লাখ টাকা আয় হতো। সব নষ্ট হয়ে গেছে। তবে দমেননি। এখন ১২ শতকে ৫৭০টি বোম্বাই মরিচ গাছে ফুল ধরেছে। প্রতি গাছ থেকে গড়ে ৫০০টি মরিচ হলে, অর্ধেক গাছ বেঁচে গেলেও তিন-সাড়ে তিন লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন।

গ্রামের অন্তত ৬০-৬৫ জন চাষী ঝড়-বৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে বোম্বাই মরিচের আবাদে নেমেছেন। নিজেরা ছোট ছোট শেড বানিয়ে ক্ষেতে মরিচ চাষ করছেন। কেউ কেউ ঢেঁড়শ, লাউ, বরবটি, ঝিঙে, ধুন্দলও চাষ করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন জানান, কলাপাড়ায় ৪০০ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ হয়েছিল। বৃষ্টিতে অন্তত ২০ ভাগ ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ফলে ফলন কমেছে, দামও কমে গেছে। কুমিরমারা গ্রামে যেখানে প্রতিদিন ৫০০-১২০০ মণ করলা বাজারে যেত, এবার সেখানে যায় মাত্র ৩০-৪০ মণ।

---

চাষীরা সাগরকন্যাকে বলেন, আগের তুলনায় ফলন পাঁচ ভাগের এক ভাগ হয়েছে, কেজিপ্রতি দামও ১০-১৫ টাকা কমেছে। তবুও তাঁরা দমে যাননি। এবার ভরসা বোম্বাই মরিচ।

তাঁদের ক্ষোভ- মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা, ৫৩ বছরেও হয়নি গার্ডার ব্রিজ, খালটি খননও হয়নি। সরকার থেকে অর্থ চান না, চান শুধু রাস্তা ও মিঠা পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১০:২২:৩৯ ● ২১৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ