অন্যায় করলে জাবি ভিসির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রথম পাতা » রাজনীতি » অন্যায় করলে জাবি ভিসির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের
মঙ্গলবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯


অন্যায় করলে জাবি ভিসির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে, প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জাহাঙ্গীরনগরে উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ হারানোর পর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের। অভিযোগ উঠেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে উপাচার্যের মদদে। তিনি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় নেতাদেরও এক কোটি টাকা দিয়েছেন। এনিয়ে জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলনের মধ্যে উপাচার্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলেন। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে শোভন ও রাব্বানীকে ছাত্রলীগের পদছাড়া করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
অধ্যাপক ফারজানা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা উপাচার্যের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য ফারজানাকেও অপসারণের দাবি তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসির পদত্যাগ কী কারণে? নৈতিক স্খলন। সেটা যদি তদন্ত করে প্রমাণ হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধেৃতিনিও আইনের ঊর্ধেব নন। তিনি যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, এখানে যদি তার কোনো অপকর্মে সংশ্লিষ্টতা থাকে, তদন্তে যদি এটা প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি মহাসচিবের দাবির প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল তো সবার পদত্যাগ দাবি করছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। তিনি নিজেই নিজের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি নির্বাচনে জিতেও পদত্যাগ করেছেন। আবার কথা রাখতে পারেননি, ওই শূন্য জায়গায় নিজেই আরেকজনকে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। এই দ্বিচারিতায় তাদের যে ভালো ভালো কথার দাম নেই। তারা নিজেরা বলে একটা করে আরেকটা। তারা নিজেরাই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। নিজের দলের যখন গণতন্ত্রের সংকট, তারা দেশের গণতন্ত্র নিয়ে যখন কথা বলে, তখন সাধারণ মানুষ বিষয়টিকে হাস্যকরই মনে করবে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৫:২৩ ● ৩৪১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ