আমতলীতে বৃষ্টি এলেই বাজে ছুটির ঘন্টা!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে বৃষ্টি এলেই বাজে ছুটির ঘন্টা!
রবিবার ● ১৮ আগস্ট ২০১৯


আমতলীতে বৃষ্টি এলেই বাজে ছুটির ঘন্টা!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার আমতলী পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের খোন্তাকাটা এলাকার বেগম নুরজাহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃষ্টি এলেই বাজে ছুটির ঘন্টা। বছরের পর বছর এ অবস্থায় বিদ্যালয়ে পাঠদান চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমনটাই জানালো প্রধান শিক্ষিকা নাসরিত সুলতানা।
জানাগেছে, আমতলী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের খোন্তাকাটা এলাকায় ২০০৮ সালে বেগম নুর জাহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ওই সময় থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় একটি টিন শেটের ভবন তুলে চালিয়ে আসছে পাঠদান। ২০১৭ সালে বন্যায় স্কুল ভবনটি ভেঙ্গে যায়। ওই সময় আবার স্থানীয় লোকের সহযোগীয়তায় পুনরায় টিন শেটের ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে। ওই ছাপড়া ঘরটি বর্তমানে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ওই ছাপড়া ঘরেই গত তিন বছর ধরে পাঠদান করাচ্ছেন। বৃষ্টি এলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বিদ্যালয় ভবন এবং টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে শ্রেনী কক্ষ তলিয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে শিক্ষকদের বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয়। এতে ব্যহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে কোন রাস্তা নেই। বিদ্যালয় ঢুকতে কাঁদা ও হাটু সমান পানি ডিঙ্গিয়ে যেতে হয়। চারিপাশে পানিতে ভরপুর। বিদ্যালয়ের এ জীর্ণশীর্ণ ও দুরাবস্থার  কথা আমতলী প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বিদ্যালয়ে ভবনের ভিতরে পানিতে থই থই করছে। ভবনটির চারিপাশে পানি।  চেয়ার টেবিলগুলো পানির মধ্যে দাড়ানো। শ্রেনী কক্ষে পাঠদানের কোন পরিবেশ নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নসরাত, জিহাদ, জিদনি, বাতাসি ও আসলাম জানান, বৃষ্টি এলেই বিদ্যালয়ের টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে শ্রেনী কক্ষ তলিয়ে যায়। তারা আরো জানান, বিদ্যালয়ের ঢোকার রাস্তা নেই। হাটু সমান পানি ডিঙ্গিয়ে বিদ্যালয়ে ঢুকতে হয়। দ্রুত ভবন নির্মাণসহ বিদ্যালয়ের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ নাসরিন সুলতানা বলেন, গত তিন বছর ধরে রোধ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই ছাপড়া ঘরে পাঠদান করাতে হচ্ছে। বৃষ্টি এলেই পানিতে বিদ্যালয়ের চারিপাশ ও শ্রেনী কক্ষ তলিয়ে যায়। ক্লাস করানোর মত কোন পরিবেশ থাকে না। বিদ্যালয়ের এ বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। দ্রুত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ একান্তই প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, ওই বিদ্যালয়ে পাঠদান উপযোগী করার লক্ষে বরাদ্দ চেয়ে অধিদপ্তরে পত্র পাঠিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৪:৫৯ ● ৩৮৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ