
আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া মৃধাবাড়ী স্ট্যান্ডে আগুনে পুড়ে ১০ টি দোকান ছাই হয়ে গেছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত ৩ টায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
জানগেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া মৃধাবাড়ী স্ট্যান্ডে রবিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে জলিল মৃধার গ্রেজ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারি দিকে ছড়িয়ে পরে। স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে দু’ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনের লেলিহান শিখায় প্রতিবন্ধি মন্টু হাওলাদারের চায়ের দোকান, জলিল মৃধা, লতিফ হাওলাদারের গ্রেজ, আবু সাইদ, ইউনুস বয়াতি, নান্টু চৌকিদারের মুদি মনোহরদি দোকান, মোশাররফ আকনের ফার্মেসী, আলতাফ হাওলাদারের কাপড়ের দোকান, অভিনাশ চন্দ্র শীল ও বিমল চন্দ্র বেপারীর সেলুন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে দমকল বাহিনীর সাহেদ হোসেন বাবু আহত হয়েছে। আহতকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সোমবার সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্বাস মৃধা ও মাসুদ মৃধা বলেন, রাত ৩ টার দিকে জলিল মৃধার গ্রেজে বিকট শব্দ হয়। শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে দেখি ওই ঘর থেকে আগুনের শিখা দাউ দাউ করে জ¦লছে। ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু মুর্হুতের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারি দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
আমতলী দমকল বাহিনীর ষ্টেশন ম্যানেজার মোঃ শাহাদত হোসেন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আমার এক কর্মী আহত হয়েছে।
কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, আগুনে ১০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ মনিরা পারভীন বলেন, খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারী ভাবে টিন ও আর্থিকভাবে সহায়তা দেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আলহাজ গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতার সকল ব্যবস্থা করা হবে।
এমএইচকে/এমআর