আমতলীতে ভন্ড ফকির আটক

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে ভন্ড ফকির আটক
সোমবার ● ১০ জুন ২০১৯


---

আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনা আমতলী পৌর শহরের উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে রবিবার রাতে পরিমল সিমলাই নামের এক প্রতারক ভন্ড ফকিরকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ সোমবার তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার মাছুয়াখালী গ্রামের পরেশ চন্দ্র সিমলাইয়ের পুত্র পরিমল সিমলাই গত ৭ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঝাঁর ফুঁক দিয়ে প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ধীরেন শীলের বাসায় সামনে দাড়িয়ে প্রতিবেশী সাবেক কাউন্সিলর মোঃ জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারকে ক্ষতি করার জন্য ঝাঁর ফুঁক দিচ্ছিল। এ দৃশ্য দেখে কাউন্সিলর ফেরদৌসসহ স্থানীয় জনতা তাকে ধরে এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানের চেম্বারে নিয়ে আসে। পরে রাতে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তার ব্যাগে থাকা মানুষের হাড্ডি, চন্দন কাঠ, সাদা কাগজে আরবিতে লেখা বিভিন্ন তাবিজ কবজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভন্ড ফকির পরিমল সিমলাইয়ের বিরুদ্ধে বরিবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ সোমবার তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
কাউন্সিলর ফেরদৌসের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়–য়া কন্যা নাফিয়া বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ধীরেন শীলের বাসার সামনে দাড়িয়ে ফকির পরিমল আমাদের বাসায় ঝাঁর ফুঁক দিচ্ছিল। আমি দেখে বাবাকে খবর দিলে বাবা জনতা নিয়ে তাকে ধরে ফেলে।
আমতলী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, গত এক মাস পূর্বে আমার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলি প্রায় পাগল হয়ে আমার দুটি সন্তান ফেলে রেখে বাবার বাড়ী চলে যায়। পরে বাড়ী তল্লাশী করে আমার বিছনায় একটি আবরিতে লেখা তাবিজ পেয়েছি। ভন্ড ফকির পরিমল আমার স্ত্রীকে তাবিজ কবজ দিয়ে পাগল করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় আবারো ক্ষতি করতে এসে ঝাঁর ফঁক দিচ্ছিল তখন আমার মেয়ে দেখে ফেলে। আমি স্থানীয় জনতা নিয়ে তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছি।
ভন্ড ফকির পরিমল তাবিজ কবজ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, একটি মেয়ের বিয়ে হচ্ছিলনা ওই মেয়েকে তবদির দিয়েছি কিন্তু কাউন্সিলরের ক্ষতি করার জন্য কোন তরবির দেইনি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, পরিমলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৯:১৭ ● ৭১৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ