পরিবর্তন করা হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা

প্রথম পাতা » জাতীয় » পরিবর্তন করা হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা
রবিবার ● ২৬ মে ২০১৯


পরিবর্তন করা হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বিদ্যুৎ বিভাগ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। আর সংশোধিত নীতিমালায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতের অন্তর্ভুক্ত করা এবং স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বীমা পলিসি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংশোধিত নীতিমালায় বিভিন্ন ট্যাক্স ও ভ্যাট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা থাকবে। ইতিমধ্যে ২৩ বছরের পুরনো ওই নীতিমালা সংশোধনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পাওয়ার সেলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা সংশোধন এবং স্থানীয় কোম্পানিতে বীমা বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। ওই চিঠি পাওয়ার পরই বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। আর ওই নীতিমালা সংশোধন করা হলে ইন্স্যুরেন্স নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে আর এসআরও জারি করতে হবে না। বর্তমানে বেসরকারি খাতের বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স করার পর এনবিআর থেকে পৃথক এসআরও জারি করতে হয়। সম্প্রতি ভারতের রিলায়েন্স নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে নির্মিতব্য এলএনজি ভিত্তিক ৭৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভারতের একটি বীমা কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স করার অনুমতি চাইলে সরকার তাতে সায় দেয়নি। রিলায়েন্সকে বাংলাদেশের স্থানীয় কোনো বীমা কোম্পানিকে ইন্স্যুরেন্স করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। বর্তমানে নীতিমালা অনুযায়ী যে কোনো বিনিয়োগকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বিদেশী বীমা কোম্পানিতে পলিসি খুলতে পারে। বর্তমানে দেশে বেসরকারি খাত থেকে মোট ২০ হাজার ৭৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৫৫ শতাংশ উৎপাদিত হয়।
সূত্র জানায়, সংশোধিত নীতিমালায় বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রাখা হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খাত ছাড়াও সঞ্চালন ও সরবরাহ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের বিষয়টি নতুন করে যোগ করা হবে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আনতে প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে মদুনাঘাট ও চট্টগ্রামের রাউজান থেকে মীরসরাই পর্যন্ত দুটি গ্রিড লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতে ওই দুটি লাইন হবে।
সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি সন্তোষজনক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু সঞ্চালন ও সরবরাহ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তাই নীতিমালা সংশোধন করা হলে বিদ্যুতের ওই দুই খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হবে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে সারাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সন্তোষজনক পর্যায়ে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন জানান, ২৩ বছরের পুরনো বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা সংশোধনের শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি খাত থেকে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। বেসরকারি খাতকে আরো উৎসাহিত করতে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে নীতিমালা সংশোধনের প্রয়োজন। তাছাড়া বেসরকারি খাতকে শুধু উৎপাদনে নয়, সঞ্চালন ও সরবরাহ ব্যবস্থাতেও বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। ওসব কারণেই বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৭:১৭ ● ৩১৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ