আতংকে শিক্ষার্থীরা কলাপাড়ায় দাশের হাওলা প্রাইমারী স্কুল ভবন চরম জীর্ণদশায়

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » আতংকে শিক্ষার্থীরা কলাপাড়ায় দাশের হাওলা প্রাইমারী স্কুল ভবন চরম জীর্ণদশায়
বৃহস্পতিবার ● ১১ এপ্রিল ২০১৯


---

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
ভবনের সব ক’টি মূল পিলারের পলেস্তরা উঠে ঢালাই রডসহ বেরিয়ে গেছে। ছাদ ও বিমের পলেস্তরা খসে পড়ছে। এখন ফাটল ধরেছে। ফ্লোরের পলেস্তরা উঠে দেবে গেছে। গোটা ভবনের পলেস্তরা ৮০ ভাগ নেই। বাইরের ইট বেরিয়ে গেছে। সব ক’টি জানালা অকেজো। অধিকাংশ নেই। শুরুতেই আটকানো যেতোনা। দরজা ভাঙ্গা। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। জানালার ফাঁক দিয়ে বৃষ্টির পানির ঝাপটা (ইছলা) লাগে শিশুদের গায়ে। ভিজে যায়। ধানখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর দাশের হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র একতলা ভবনটির এমন জীর্ণদশা। ভবনটি ধসে পড়ার শঙ্কায় পড়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিশুরা। ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটির এ ভবনটি করা হয় ৮০’র দশকে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলম গাজী, শিক্ষক শাহনাজ ফাহিমা জানালেন ২০০১ সালে একবার, ২০১০ সালে আরেকবার মেরামত করা হয়েছে। এরপর থেকে ভবনটির এই হাল হয়েছে। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয় করন করা হয়। কিন্তু নতুন কোন ভবন না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রায় এক শ’ শিশু জীবনহানির ঝুঁকি নিয়ে লেখাপড়া করছে। পাঁচজন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন স্কুলটিতে। এখন একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জরুরীভাবে জীর্ণদশার এ ভবনটি মেরামত করাও প্রয়োজন। নইলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কায় রয়েছেন অভিভাবকসহ শিশুশিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি হলেই অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে থাকেন আতঙ্কে। এলাকার বয়োবৃদ্ধ লতিফ ঢালী জানান, ৭৮ বছরেও একটি আধুনিক স্কুল ভবন করা হয়নি এখানে। এখন একটা সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল ভবন নির্মাণ করা জরুরি প্রয়োজন। নইলে লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হবে। ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, ওই স্কুলটি খুব পুরনো। ভবনটি এখন আর ব্যবহার করা যায়না। একটি নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ করা জরুরি প্রয়োজন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল আহম্মেদ জানান, ওই ভবনটি মেরামতের উদ্যোগসহ একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৮:০৯ ● ৪১০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ