কুয়াকাটায় কোস্টগার্ডের অভিযান, ১৩ জিম্মি জেলে ট্রলারসহ উদ্ধার

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় কোস্টগার্ডের অভিযান, ১৩ জিম্মি জেলে ট্রলারসহ উদ্ধার
বুধবার ● ১০ এপ্রিল ২০১৯


কুয়াকাটায় কোস্টগার্ডের অভিযান, ১৩ জিম্মি জেলে ট্রলারসহ উদ্ধার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

কোস্টগার্ড নিজামপুর, পায়রা বন্দর ও ভোলা  জোনের সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হচ্ছে রাসেল, ফেরদৌস, জসিম, বাদল, কবির, আলাউদ্দিন, ইলিয়াস, সোহাগ, ইব্রাহীম প্যাদা, তামিম, মিজান, চানমিয়া, কামাল।
বুধবার সকাল ১০টায় কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম নাজিউর রহমান নিজামপুর কোস্টগার্ড বিসিজি স্টেশনে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং এ আরও বলেন, গোপন সুত্রের ভিত্তিতে ৫লক্ষ পিস ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছেন। এসময় মূল হোতা মহিপুরের আলআমিন, জহিরুল, সালাহউদ্দিন, বেল্লাল, ছোহরাব পালিয়ে যায়। আটক মোশাররফ জানায়, টেকনাফ থেকে এই পরিমান ইয়াবা ট্রলারে রবিবার লোড করা হয়। যা কুয়াকাটা, মহিপুর-আলীপুর ও কলাপাড়ায় ওই রাতে আনলোড করার কথা ছিল। কিন্তু ইয়াবা বহনকারী ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে চালানকারীরা কিছুটা বেদিশা হয়ে পড়ে। মোশাররফ তখন মহিপুর এসে সুগন্ধা বরফকল সংলগ্ন এলাকায় ভেড়ানো এফবি আলাউদ্দিন ট্রলারের ১৩ জেলেকে নষ্ট হওয়া ট্রলার কিনারে আনার জন্য মোটা অংকের টাকার লোভ দেখায়। কিন্তু ট্রলার নিয়ে ইয়াবা বহনকারী ট্রলারের কাছে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জেলেদের মারধর করতে থাকে। ছিনিয়ে নেয় প্রত্যেকের মোবাইল সেট। এক পর্যায় নষ্ট ট্রলার বেধে ফেয়ার বয়ার দিকে চালাতে বাধ্য করে। উদ্ধার হওয়া জেলে মো. বাদল জানায় তাদেরকে অমানুষিক কায়দায় মারধর করা হয়। দেয়নি কোন টাকা-পয়সা। মঙ্গলবার শেষ বিকেলে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সাগরে থাকা অবস্থায় কোস্টগার্ড ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ট্রলার চরে ঠেকিয়ে মূল হোতা আলআমিনসহ ছয়জন পালিয়ে যায়। ইয়াবার চালানের হোতা আল-আমিনের বাবার নাম আব্দুস সালাম। বাড়ি মহিপুরে। আলীপুরের ইউসুফ কোম্পানির লোকজনও এ চালানোর সঙ্গে জড়িত বলে উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানিয়েছে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলা হয়েছে। কোস্টগার্ড বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। বর্তমানে ইয়াবার বিশাল চালান আটকের খবরে এলাকায় মানুষের মাঝে নানা শঙ্কার কথা আলোচিত হচ্ছে।
কোস্টগার্ডের ভাষ্য, কক্সবাজার ও টেকনাফে পুলিশ, র‌্যাব, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ডের কঠোর অভিযানে এরুটকে ব্যবহার করছে ইয়াবার কারবারিরা। বর্তমানে এ ব্যবসার সঙ্গে এক শ্রেণির মৎস্যজীবী জড়িয়ে পড়ছে। যাদের শণাক্তের কাজ চলছে বলেও কোস্টগার্ডসুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সম্প্রতিকালে কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের সলিমপুরে শেখ কামাল সেতুর টোলপয়েন্টের কাছে ছয় লাখ ৭৭ হাজার পিস ইয়াবা আটকের পরে পাঁচ লাখ ইয়াবার চালান আটকে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৮:৩০ ● ৩৭৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ