বিএসএমএমইউর পরিচালক সরকারের সুরে কথা বলছেন: রিজভী

প্রথম পাতা » রাজনীতি » বিএসএমএমইউর পরিচালক সরকারের সুরে কথা বলছেন: রিজভী
বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০১৯


নয়া পল্টনের কার্যালয়ে মিলাদের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালকের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শবে মেরাজ উপলক্ষে বুধবার (৩ এপ্রিল) দলের নয়া পল্টনের কার্যালয়ে মিলাদের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশনেত্রী কারাগারে থাকতেই সরকারি ডাক্তাররা অনেকে গিয়েছেন, তারা বলেছেন ওঁর অসুস্থতা গুরুতর। আর তিনি পিজিতে আসার সাথে সাথেই হাসপাতালের পরিচালক বলে দিলেন যে উনি খুব একটা অসুস্থ নন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল না, কোনো ধরনের ডায়াগনোসিস হল না, পিজির পরিচালক বলে দিলেন যে ওঁর অসুস্থতা গুরুতর নয়। পরিচালক তো নিজের মুখে বলেছেন না। শেখ হাসিনা যেটা বলে দিচ্ছেন, সরকার যেটা বলে দিচ্ছেন, সেই কথাই পিজির পরিচালক বলছেন। চাকরি রক্ষা করার জন্য, পরিচালকের পদ ধরে রাখার জন্য, একজন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দেওয়ার জন্য, ডাক্তাররা নিজেদের পদ ধরে রাখার জন্য শেখ হাসিনার ভাষায় কথা বলছেন।
খালেদা জিয়াকে সোমবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করার এক ঘণ্টা পর হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কেএম মাহবুবুল হক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। তবে মঙ্গলবার হাসপাতাল পরিচালক সাংবাদিকদের জানান, বিএনপিপ্রধানের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।
রিজভী অভিযোগ করেন, আজকে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো উন্নত চিকিৎসা নেই। তার ফ্রোজেন শোল্ডার হয়ে যাচ্ছে, বাম হাত, ডান হাত নাড়াতে পারছেন না, হাঁটতে পারছেন না। যিনি সুস্থ অবস্থায় গেল বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হেঁটে হেঁটে কারাগারে গেলেন। আজকে তাকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হচ্ছে। আজকে আমাদের ভয় হচ্ছে যে, সরকার কারাগারের মধ্যে তাকে চিকিসার নামে অন্যকিছু করছে কিনা? কোনো স্লো পয়জনিং করা হচ্ছে কিনা- এটা এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আজকে তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেন কেন? খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ও সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রিজভী বলেন, নিঃশর্ত মুক্তি চাই। মুক্তি দিতেই হবে। এ দেশ যদি সত্য হয়, এ দেশের মানুষের সংগ্রামী অতীত যদি সত্যি হয়, তাহলে শেখ হাসিনার তাখতে তাউস আর বেশি দিন নাই। তাখতে তাউস, তাঁর ময়ূরের সিংহাসন থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছে। এখন যেকোনো সময় হুড়মুড় করে পড়ে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। এসব ছাড়াও রাষ্ট্রীয় মূল স্তম্ভগুলোর মধ্যকার ভারসাম্য নষ্ট করে গণতন্ত্রকে অপমৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
বিচার বিভাগ সঠিকভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করলে সরকার গণতন্ত্রকে এভাবে নস্যাৎ করতে পারত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মিলাদের আগে উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, কাজী আবুল হোসেন শবে মেরাজের তাৎপর্য তুলে ধরেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, হাসান জাফির তুহিনসহ নেতাকর্মীরা মিলাদে অংশ নেন।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫১:৫৩ ● ৪৬৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ