আমতলীতে ৫৫দাখিল পরীক্ষার্থীর বিষয় বদলে অধ্যক্ষকে শোকজ!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে ৫৫দাখিল পরীক্ষার্থীর বিষয় বদলে অধ্যক্ষকে শোকজ!
মঙ্গলবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩


আমতলীতে ৫৫দাখিল পরীক্ষার্থীর বিষয় বদলে অধ্যক্ষকে শোকজ!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

৫৫ পরীক্ষার্থীর ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার ঘটনার সত্যতায় আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুচ আলীকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিনি এ শোকজ নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব অবহেলার কারনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীর এমপিও সাময়িক স্থগিত/ স্থায়ীভাবে কেন বন্ধ কর হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার এ নোটিশের খবর আমতলীতে চাউর হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবী করেছেন ওই পরীক্ষার্থীরা।
জানাগেছে, এ বছর ৫৫ জন পরীক্ষার্থী আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই পরীক্ষার্থীরা রেজিষ্ট্রেশনে চতুর্থ বিষয় হিসেবে কৃষি শিক্ষা নেন। ওই অনুসারে তারা দুই বছর লেখাপড়া করে। গত ১৭ মে চতুর্থ বিষয় অর্থ্যাৎ কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা শুরুর পরপরই পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ওই পরীক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের পরিবর্তে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র দেন। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র দেখে বিচলিত হয়ে যায়। তারা জানতে পারে অধ্যক্ষ নিজের ইচ্ছায়ই চতুর্থ বিষয়ে কৃষি শিক্ষার পরিবর্তে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন। এতে বিপাকে পড়ে ওই ৫৫ পরীক্ষার্থী। পরে তারা পরীক্ষা না দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পরে পরীক্ষার্থীরা। পরে ওই পরীক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুস আলীর শাস্তি দাবী করে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করে। পরে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনার তদন্ত করেন। পরে তারা ঘটনার সাথে জড়িত অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত প্রতিবেদন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে গত ২৮ জুলাই দাখিল পরীক্ষা রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। এতে পরীক্ষার্থীরা কাঙ্খিত রেজাল্ট করতে পারেনি।এতে তাদের উন্নত শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুচ আলীকে শোকজ নোটিশ দেন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব অবহেলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীর এমপিও (মান্থলি পে-মেন্টে অর্ডার) সাময়ীক স্থগিত/  স্থায়ীভাবে কেন বন্ধ কর হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পরীক্ষার্থী  হাবিুল্লাহ , আয়শা, তানহা ও আবিদা বলেন, চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা না দেয়ার কারনে কাঙ্খিত রেজাল্ট হয়নি। এতে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাইনি।
মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুচ আলীর মুঠোফোনে (০১৭১৪৫৯৯৩৬৩)  বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন অধিদপ্তরের নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্কীকার করে বলেন অধিদপ্তরের সিন্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসাইন নোটিশ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,  নোটিশের জবাবের আলোকে  বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৫:১১ ● ৬০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ