গৌরনদীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার-৫

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার-৫
রবিবার ● ১৮ জুন ২০২৩


---

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরিশালের গৌরনদীতে বান্ধবীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে এক  সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের  ঘটনায়  অভিযুক্ত ৭ যুবককে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।  শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার গ্রামের নির্যাতিতা প্রবাসীর স্ত্রী (ভিকটিম) বাদি হয়ে এ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভূক্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের মহিষা গ্রামের আ’লীগের নেতা নাসির মোল্লার ছেলে ইয়াছিন মোল্লা (২০),  শরিকল গ্রামের জামাল হাওলাদারের ছেলে শিশির হাওলাদার (২২), মৃত হানিফ বেপারীর ছেলে রেজাউল বেপারী (১৯), মৃত শামছুদোহার ছেলে রেজাউল করিম পলাশ(৫৭), নজরুল মৃধা ছেলে জিহাদ মৃধা (২০), নুরু চৌকিদারের ছেলে হৃদয় চৌকিদার (১৯), বাবুগঞ্জ উপজোর ঠাকুর মল্লিক গ্রামের শামছুল আলম শিকদারের ছেলে সালমান শিকদার (১৯)।
ভিকটিম ওই গগৃহবধু অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে আমি শরিকল বাজার সংলগ্ন এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে যাই। নিজ বাড়ি যাওয়ার উাদ্দেশ্যে আমি বান্ধবীর বাড়ি থেকে  বেলা ১১টার দিকে হেটে শরিকল টেম্পো স্ট্যান্ডে রওনা দেই। পথিমধ্যে আমি বেলা সোয়া ১১টার দিকে বেল্লাল রাঢ়ীর চা’য়ের দোকানের কাছে পৌছলে বখাটে ইয়াসিন মোল্লা, জিহাদ মৃধা, হৃদয় চৌকিদার, সালমান শিকদার, রেজাউল বেপারীসহ বখাটে ৬/৭ যুবক আমার পথরোধ করে। এ সময় তারা  জিম্মি করে আমাকে জোরপূর্বক বেল্লালের চা’য়ের দোকানের ফিছনে একটি খুপড়ি ঘরের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে বসে বখাটে ইয়াছিন, জিহাদ, হৃদয় জোরপূবর্ক আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিডিও ধারণ করে তারা বলে রেজাউল করিম পলাশের বাড়িতে গিয়ে পলাশের সাথে কি করেছ? তাকে (পলাশ) বল আমাদেরকে বিশ হাজার টাকা দিতে। এরপর আমাকে নিয়ে তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে  পার্শ^বর্তী পলাশের  বাড়িতে গিয়ে তার (পলাশ) কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করে। পলাশ টাকা দিতে অস্বীকার করলে নরপশুরা  পলাশের সহযোগীতায় পলাশের বসত বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার একটি রুমের মধ্যে নিয়ে পুর্নরায় পালাক্রমে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে তারা আমাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে  গৌরনদীর শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ  পলাশের বাড়িতে পৌছে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে (ভিকটিমকে) উদ্ধার ও  ৫ যুবককে আটক করে।
গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে আটককৃত ৫ যুবকসহ ৭ জনের নামোল্লেখ করে উল্লেখ করে শনিবার রাতে গৌরনদী থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। ওই মাশলায় গ্রেফতারকৃত আসামি  ইয়াসিন মোল্লা, শিশির হাওলাদার, সালমান শিকদার, রেজাউল  বেপারী, পলাশকে  গতকাল রোববার বিকালে  বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণে জন্য আবেদন করা  হয়েছে। ভিকটিমকে রোববার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার অন্য ২আসামিকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে ওসি আফজাল হোসেন জাানন।

এএসআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৮:০০ ● ৭৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ