গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর গলাচিপায় কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দিরে ৫৬ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। জগৎ জীবন সংসার সহ মানব কুলে অধর্ম-অন্যায় ব্যাভিচার এর করালে নিস্পেষিত। তার পরিত্রাণের উত্তরণে সনাতন ধর্মের অমৃত কথা বা শ্রী শ্রী হরিনাম তারকব্রহ্ম সংকীর্ত্তন, মানব সমাজে পূর্ণ্যরে প্রকাশ ঘটায় এবং মানবের মাঝে শান্তি বিরাজ করার লক্ষ্যে গলাচিপা সর্বজনীন কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দির আঙ্গিঁনায় বিভিন্ন হরি নাম সাধন শিল্পি গোষ্ঠির প্রদর্শনে ৫ই মে/২৩ তারিখ শুক্রবার সূর্যদয় থেকে শুরু হয় এবং ১২ মে/২৩ তারিখ পর্যন্ত শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্ত্তণ শেষ হয়েছে।
এ ছাড়া মন্দির আঙ্গিঁনায় কীর্ত্তন শুরুর আগে শ্রীমদ্ভগবত পাঠ, শীতলা ও কালী মাতার পূজা মহানাম যজ্ঞ সহ মঙ্গলঘট স্থাপন সহ শত শত ভক্তদের সুবিধার্থে খাওয়ার ব্যবস্থাসহ প্রতিদিন প্রসাদ বিতরণ এবং সমস্ত দিনে মহা প্রভুর ভোগরাগ অন্তে, মহা প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করেছে মন্দির কমিটি। হরি নাম সংকীর্ত্তনে চলতি বছর ১১ দল যথাক্রমে কৃষ্ণ ভক্ত সম্প্রদায় (খুলনা), জয়গুরু সম্প্রদায় (গোপালগঞ্জ), শ্রী গৌরাঙ্গ সম্প্রদায় (খুলনা), চৈতন্য সুন্দর (বরগুনা), সুরধ্বনী (চট্টগ্রাম), বঙ্কুবিহারী (ঢাকা), কৃষ্ণ মুরারী (পিরোজপুর), ভবতারন (ঢাকা), গোরাচাঁদ (বরিশাল), শচিনন্দন (কুষ্টিয়া) ও ভুবন সোহিনী (খুলনা)। মহানাম সংকীর্ত্তন বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার বনিক, সাধারণ সম্পাদক তাপস দত্ত, কমিটির সদস্য সমীর কুষ্ণ পাল ও মন্দিরের বিজ্ঞ পুরোহীত শ্রী বাসুদেব চক্রবর্তী ৫৬ প্রহরের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে” এই মধুর স্বরের মূর্ছনায় ভক্তরা প্রার্থনা ও শান্তি লাভ করে। এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার বনিক বলেন, কালি বাড়ি আঙ্গিনায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ হরিনাম কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভক্তদের জন্য থাকার সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত ফ্যান ও ভক্তদের তিন বেলা প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসডি/এমআর
