দুমকিতে বেড়ায় অবরুদ্ধ চার পরিবার!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দুমকিতে বেড়ায় অবরুদ্ধ চার পরিবার!
শনিবার ● ২২ এপ্রিল ২০২৩


দুমকিতে বেড়ায় অবরুদ্ধ চার পরিবার!

দুমকি(পটুয়াখালী)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দুমকিতে গোত্রগত পূর্ব-বিরোধে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিয়ে পাঁচ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই চার পরিবারের ঈদ-উৎসব অবরুদ্ধদশায় ম্লান হয়ে গেছে। উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদি গ্রামে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে। বাঁশ ও কাটার বেড়ায় অবরুদ্ধ পরিবারের নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোররা শুকনো মৌসুম থাকায় প্রভাবশালীদের নজর এড়িয়ে বিকল্প পথে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলেও অবরুদ্ধদশা থেকে মুক্তি মেলেনি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,  উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরগরবদী গ্রামের নাসির মুন্সি গং ও বাবুল হাওলাদার গংদের মধ্যে গোত্রগত পূর্ব বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে তুচ্ছঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় মুন্সিগোত্রের প্রভাবশালীরা। গত ১৮এপ্রিল কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে নাসির মুন্সী গংরা বাড়ির মাঝামাঝি ইউনিয়ন বোর্ডের নির্মিত চলাচলের পথে বাঁশ ও কাটার বেড়া দিয়ে আটকে দেয়। এতে বাবুল হাং , সোবহান হাওলাদার, দুলাল হাওলাদার ও মনির হাওলাদারের পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বাবুল হাওলাদার অভিযোগ করলেও গত ৫দিনেও অবরুদ্ধদশা থেকে মুক্তি মেলেনি। চলাচলের পথ আটকে রাখায় অবরুদ্ধদশায় পরিবারগুলোর ঈদ উৎসবের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে।
অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য বাবুল হাওলাদারের ছেলে অলি হাওলাদার অভিযোগ করেন, পাঁচদিন যাবত তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পোলাপানগুলো কান্নাকাটি করছে। কেউ ঈদের বাজারটা পর্যন্ত করতে পারেন নাই । আমরা এই অবরুদ্ধদশা  থেকে মুক্তি চাই। অভিযুক্ত নাসির মুন্সি বলেন, এতদিন আমাগো জায়গা দিয়ে হাটতে দিছি এখন আর দিমুনা দেখি কে কি করতে পারে।
মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান শিকদার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অন্যায় ভাবে বেড়া দিয়ে পরিবারগুলোকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দু:পক্ষকে ডেকে বেড়া তুলে নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে সরজমিনে গিয়ে দু‘গোত্রের বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০১:৩৭ ● ৫৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ