খাসজমি ও কুয়াকাটার টেকসই সম্ভাবনা

প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » খাসজমি ও কুয়াকাটার টেকসই সম্ভাবনা
বৃহস্পতিবার ● ১৯ জুন ২০২৫


---

পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা শুধু একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, বরং এটি উপকূলীয় উন্নয়ন, সম্ভাব্য বিনিয়োগ এবং পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনার এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। সরকারের খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সফর সেই উন্নয়ন ভাবনার একটি বাস্তব প্রতিচ্ছবি।

উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সৈকতের পর্যটন পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারি খাসজমি ও অন্যান্য সরকারি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার বিষয় নিয়ে যে বিশদ আলোচনা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি খাসজমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনতে না পারলে এই অঞ্চলের সম্ভাবনা কখনোই পুরোপুরি কাজে লাগানো যাবে না। বরং দখলদারিত্ব, অনিয়ম ও পরিকল্পনাহীনতা ভবিষ্যতে বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে পারে।

প্রশংসনীয় যে, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও উপদেষ্টা সৈকত পরিদর্শন করেছেন, যা তাঁর অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতার প্রমাণ। তাঁর এই সফরের মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট—সরকার শুধু উন্নয়ন প্রকল্পে কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ থাকতে চায় না, বরং বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী।

আমরা মনে করি, এই সফরের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটা এবং এর আশেপাশের খাসজমিগুলো নিয়ে সরকারের যে টেকসই পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পর্যটনবান্ধব অবকাঠামোর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

এমন উন্নয়ন হতে হবে, যা শুধু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নয়, বর্তমান উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়নের পথ খুলে দেবে। সরকারি সম্পত্তি নিয়ে টেকসই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন কেবল প্রশাসনিক উদ্যোগে সম্ভব নয়, এর জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা এবং জনগণের আস্থা।

সাগরকন্যা অনলাইন বিশ্বাস করে—এই সফরের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটা উন্নয়নের একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এখন প্রয়োজন পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তব রূপ দেওয়া এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্থায়ী সংস্কার নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩২:২৯ ● ৪৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ